কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষে উঁকি দেওয়ার ঘটনায় মাজিস্ট্রেটকে দুষলেন প্রিজাইডিং অফিসার।
বুধবার নগরীর ১৯ নং ওয়ার্ডের নেউরা এম আই উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ইভিএম কাণ্ডের জন্য মেজিস্ট্রেটকে দুষলেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নাজমুল আমিন।
তিনি দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, “সকাল থেকে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন চলছিলো। হঠাৎ করে জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট এসে বললেন, আমি অভিযোগ শুনে এখানে এসেছি। বললাম কি অভিযোগ স্যার। তিনি বললেন, এক ভোটার অভিযোগ করেছে ইভিএমে এক প্রতিক ছাড়া অন্য কোন প্রতিক পাওয়া যাচ্ছে না। আমি বললাম স্যার অভিযোগটি সত্য নয়। কারণ এর আগে ৪০০-৫০০ জন ভোট দিয়েছে। তখন স্যার বলেন চলেন আমি বিষয়টা খতিয়ে দেখবো। আমি বললাম ঠিকাছে স্যার চলেন। তিনি কেন্দ্রে গিয়ে লোকজনের সঙ্গে কথা বললেন।”
প্রিজাইডিং অফিসার আরও বলেন, “কথা বলা শেষে গোপন বুথে একজন ভোট দিচ্ছিলো। স্যার বললো আপনি ভোট দেন আমি দেখবো। আমি তখন তাকে বললাম প্লিজ স্যার। এই প্লিজ বলার সাথে সাথে তিনি আমার ওপর রেগে গেলেন। বলেন আপনি কি আমাকে আইন শেখান। এই বলে বের হয়ে গেলেন।”
তবে এ বিষয় কথা বলার জন্য মেজিস্ট্রেট ওমর ফারুকের সঙ্গে বার বার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষে কাউকে উঁকি দিতে দেখা যায়নি বলে দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশনের দাবি, কেন্দ্রে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরায় এমন কিছু দেখা যায়নি।
বুধবার পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সমন্বয়ক ইসির আইডিইএ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (কমিউনিকেশন) স্কোয়াড্রন লিডার মো. শাহরিয়ার আলম এই দাবি করেছেন।
প্রসঙ্গত, ভোটগ্রহণ চলাকালীন সময়ে ১৯ নং ওয়ার্ডের কিছু ভোটার দাবি করেছেন, নেউরা এম আই উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে যে ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে শুধুমাত্র 'নৌকা' প্রতীক দেখানো হচ্ছে।
এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।তবে তার দাবি অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসার নাজমুল আমিন তাকে পরিদর্শনে বাধা দেন এবং তাকে বুথে প্রবেশ করতে দেননি।