চট্টগ্রাম-৮ উপনির্বাচন: মোমবাতি প্রতীকের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ২৭, ২০২৩, ১২:১৮ পিএম

চট্টগ্রাম-৮ উপনির্বাচন: মোমবাতি প্রতীকের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ

চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে বোয়ালখালীতে ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আবদুস সামাদের (মোমবাতি প্রতীক) এজেন্টদের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কেন্দ্রে ঢুকতেও দিচ্ছে না নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর লোকজন এমন অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮টায় এই উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট চলবে। আসনটিতে ইভিএমে ভোট নেওয়া হচ্ছে। 

উপনির্বাচনে মোট প্রার্থী পাঁচজন। তাঁরা হলেন—আওয়ামী লীগের নোমান আল মাহমুদ (নৌকা প্রতীক), ইসলামী ফ্রন্টের সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আবদুস সামাদ (মোমবাতি প্রতীক), ইসলামিক ফ্রন্টের এস এম ফরিদ উদ্দীন (চেয়ার প্রতীক), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির কামাল পাশা (আম প্রতীক) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রমজান আলী (একতারা প্রতীক)। উপনির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে নোমানের সাথে সেহাবের।

মোমবাতি প্রতীকের এজেন্টরা অভিযোগ করেন, বোয়ালখালীর পোপাদিয়ার খাজা গরিবে নেওয়াজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শহীদ রফিক স্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। 

এ ছাড়া বোয়ালখালীর সারোয়াতলী ইব্রাহিম নুর মোহাম্মদ হাইস্কুল, ধোরলা কিশোর সংঘ প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরণদ্বীপ ঘাটিয়াইল পাড়া কেন্দ্র, পশ্চিম কধুরখীল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পশ্চিম কধুরখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কধুরখীল ইউনাইটেড মুসলিম হাইস্কুল ও বেঙ্গুরা কে বি কে বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে মোমবাতি প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়।

সকাল পৌনে ১০টার দিকে সেহাব উদ্দিন বলেন, ‘কয়েকটি কেন্দ্রে আমার এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কিছু কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে। ভোটারদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কয়েকটি কেন্দ্রের গোপন কক্ষে আওয়ামী লীগের নেতারা বাটন টিপে দিচ্ছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ভোট স্থগিত করার অনুরোধ করেছি।’

এ বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘পোপাদিয়ায় কেন্দ্র থেকে এজেন্ট (মোমবাতি প্রতীক) বের করে দেওয়ার অভিযোগ পেয়ে যাচাই করে দেখেছি। পরে একটি কেন্দ্রে মোমবাতির এজেন্টকে ঢুকিয়ে দিয়েছি। এ ছাড়া অন্য কোনো অভিযোগ এখনো সেভাবে পাইনি।’

আসনটির গোমদণ্ডী পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের আটটি কক্ষে মোট ভোটার ২ হাজার ৮৫৬ জন। কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. আতিকুল্লাহ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বলেন, ‘এক-দুজন করে ভোটার আসছেন। উপস্থিতি কিছুটা কম।’

গোমদণ্ডী পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রটির সার্বক্ষণিক তদারকি করছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি রেজাউল করিমসহ নৌকার ব্যাজ পরিহিত কয়েকজন ব্যক্তি। জানতে চাইলে রেজাউল বলেন, ‘আমার অধীনে পাইলট স্কুলসহ পাঁচটি কেন্দ্র রয়েছে। আমি ভোটারদের আনা–নেওয়ার কাজ করছি। কোনো প্রভাব বিস্তার করছি না।’

পশ্চিম গোমদণ্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ২০০ ভোট গ্রহণ করা হয়। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ৪ হাজার ১৫৪।

খাজা গরিবে নেওয়াজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ভোটার ৩ হাজার ১৯৮। কেন্দ্রটিতে বেলা ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ২০৭টি। এই কেন্দ্র থেকে সকালে মোমবাতির এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ ছিল।

উপনির্বাচনে ১৯০টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। আসনটিতে ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২। গত ৫ ফেব্রুয়ারি সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। এর আগে ২০২০ সালে মইন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়েছিল।

Link copied!