ছাত্র ইউনিয়নের ৪০ তম ঢাকা মহানগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, বর্তমান ৪১ তম কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাদাত মাহমুদ আর নেই।রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় নিজেদের বাসায় ছাত্র ইউনিয়নের এই নেতা ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। বুধবার দুপুরে তাঁর পরিবার বিষয়টি বুঝতে পারে। তবে আত্মহত্যার সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। বুধবার বাদ এশা ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে জানাজা শেষে সাদাতকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
সাদাত মাহমুদ করোনা মহামারির সময় শিক্ষার্থীদের ৫০ শতাংশ টিউশন ফি মওকুফের আন্দোলনে অংশ নেওয়ার ঘটনায় ‘ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন’ করার অভিযোগ তুলে ২০২০ সালের নভেম্বরে সাদাতসহ দুই ছাত্রকে বহিষ্কার করে বেসরকারি ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)। একই বছরের সেপ্টেম্বরে রাজধানীর বেইলি রোডের দেয়ালে ধর্ষণবিরোধী গ্রাফিতি আঁকার সময় সাদাতসহ ছাত্র ইউনিয়নের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছিল রমনা থানা পুলিশ।
সাদাত মাহমুদের ‘আত্মহত্যার’ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি অনিক রায় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ধানমন্ডি ৯/এ-তে নিজ বাসায় সাদাত মাহমুদ আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার দুপুরে তাঁর পরিবার বিষয়টি বুঝতে পারে।
সাদাত কীভাবে আত্মহত্যা করেছেন, এসব নিয়ে তাঁর পরিবার কিছু বলেনি। তাঁরাও এ বিষয়ে কথা বলে সাদাতের পরিবারের সদস্যদের বিরক্ত করতে চাননি।
অনিক রায় আরও বলেন, ছোটবেলা থেকেই সাদাতের ট্রমাটিক অ্যাটাক হতো। দীর্ঘদিন ধরে এর চিকিৎসা চলছিল। তিনি জটিলতাগুলো অনেকটা কাটিয়েও উঠেছিলেন। তাই তাঁর আত্মহত্যাটা খুবই অপ্রত্যাশিত। আন্দোলনের কারণে তাঁকে ইউল্যাব থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এটা একটা মানসিক চাপ তৈরি করেছিল।
অনেক দিন ধরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করেও তিনি ভর্তি হতে পারছিলেন না। তাঁর পড়াশোনা লম্বা সময়ের জন্য আটকে যায়। তবে সপ্তাহখানেক আগে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তিনি ক্লাস শুরু করেছিলেন।
সাদাত মাহমুদ সর্বশেষ স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন বলে ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আদনান আজিজ চৌধুরী জানিয়েছেন।