ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২১, ০৩:৫২ পিএম
দুর্নীতি দমনে সরকারি সংস্থা ও বিভাগগুলো যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে না। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে ঘুষ বৈধ করার বিষয়টিও গ্রহণযোগ্য নয়। সোমবার দুদকের ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশকালে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
কালো টাকা সাদা করার প্রক্রিয়া নিয়ে সমালোচনা করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে ঘুষ বৈধ করার বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয়।’ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে প্রতিবেদনটিকে বিভ্রান্তিকর মনে হয়েছে।
এনজিও এবং নাগরিক সমাজকে গঠনমূলক সমালোচনা করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘একটি বড় এনজিও আছে যেটি দুর্নীতি, শিক্ষা বা রাজনীতি, যেকোনো বিষয়েই সমালোচনা করে।’ ‘এনজিওগুলো শুধুই সমালোচনা করে, সেগুলো সমাধানের জন্য দৃশ্যমান কিছুই করে না,’ বলেও যোগ করেন তিনি।
দুদকের বার্ষিক প্রতিবেদনটি রবিবার রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে জমা দিয়েছে সংস্থাটি। প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুদকের কাছে মোট ২১ হাজার ৩৭১টি অভিযোগ জমা পরেছে, যার মধ্যে এক হাজার ৭১০টি অভিযোগ তদন্তের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দুদক মোট ২৬৩টি মামলা দায়ের করেছে এবং চার্জশিট দিয়েছে ২৬৭টির।
এছাড়াও ২০১৯ সালে ৬৩ শতাংশ ক্ষেত্রে শাস্তি নিশ্চিত করতে পেরেছে দুদক।