রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় নিউ সুপার মার্কেটেরন তিন তলায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৩০টি ইউনিট। উদ্ধার কাজে সহায়তা করছে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি যৌথ দল। পাশাপাশি র্যাব-পুলিশের সাথে যোগ দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি’র সদস্যরা।
তারপরও শনিবার ভোর বেলায় লাগা আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। মার্কেটের তৃতীয় তলা থেকে সূত্রপাত হওয়ার সময় আগুন মার্কেটের এক পাশে ছিল। তবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্বলতে থাকা আগুন তৃতীয় তলার গোটা ফ্লোরে ছড়িয়ে পড়ে। দ্বিতীয় তলায় প্রচণ্ড ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
এদিকে, মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে থাকা এসিগুলো কিছুক্ষণ পরপরই বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হচ্ছে। এসি বিস্ফোরনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে কর্মরত ফায়ার সার্ভিন ও সিভিল ডিফেন্সের বেশ কয়েকজন সদস্য আগুনের তাপ্রবাহের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থ হওয়াদের মধ্যে ৮ জন ফায়ার ফাইটার ও তিনজন দোকান-কর্মচারি।তবে তাৎক্ষণিক তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে, আগুনের মধ্যেও মার্কেটের যে অংশে এখনও আগুন পৌঁছায়নি সেখানের দোকানগুলো থেকে মালামাল বের করে আনছেন ব্যবসায়ীরা। ঈদের জন্য বাড়তি মাল মজুদ করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। তাই ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে জীবন-ঝঁকি নিয়েও মালামাল সরাতে ব্যস্ত তারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা ও যুদ্ধের কারণে গত কয়েক বছরে ব্যবসা না হলেও এবছর ঈদে সে ক্ষতি পুষানোর সুযোগ পেয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসাও বেশ ভালোই হচ্ছিল। আগুনে নিমিষে শেষ হলো সবকিছু।
প্রসঙ্গত, শনিবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। সবশেষ খবর অনুযায়ী (সকাল সাড়ে ১০টায়) ফায়ার সার্ভিসের ৩০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া) কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার গণমাধ্যমকে বলেন, “ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে নিউ সুপার মার্কেটে এ আগুন লাগে এবং ৫টা ৪৩ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি।“