প্রথমবারের মতো ভয়াবহ এলএসডি মাদক জব্দ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মে ২৭, ২০২১, ১২:৪৩ পিএম

প্রথমবারের মতো ভয়াবহ এলএসডি মাদক জব্দ
https://www.youtube.com/watch?v=WSktRzSOAPg
 

রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে ভয়াবহ মাদক লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইইথ্যালামাইড বা এলএসডি উদ্ধার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের রমনা বিভাগ। বুধবার (২৬ মে) রাতে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ইফতেখায়রুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, অভিযান চালিয়ে দেশে প্রথমবারের মত এলএসডি ড্রাগ উদ্ধার করেছে ডিবি রমনা বিভাগ। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুপুর ২টায় রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

এলএসডি কী?

এলএসডি ড্রাগ মস্তিষ্কে এমন এক প্রভাব সৃষ্টি করে যা হ্যালুসিনেশনে (সম্মোহন) সাহায্য করে। ফলে যারা এই ড্রাগ ব্যবহার করে তারা বিভিন্ন রকম রঙ এবং আকৃতির জিনিস দেখে, যার অস্তিত্ব পৃথিবীতে নেই। এছাড়া এই ড্রাগ মানব মস্তিষ্কের এমন সব স্নায়ুর কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় যা অনেক সময় অতীত স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়। এমনকি এই ড্রাগ মানুষকে তার জন্মকালীন স্মৃতিও মনে করাতে সক্ষম।

সহজেই গ্রহণ করা যায় এলএসডি 

এলএসডি মাদক ট্যাবলেট বা প্যালেট এমনি তরল অবস্থায়ও গ্রহণ করা হয়। তবে বিশ্বে কাগজের প্যাডে ছোট আকারে এলএসডি গ্রহণই সবচেয়ে জনপ্রিয় পন্থা। বিভিন্ন রঙিন কাগজে গ্রহণ করা এই মাদকটি ২০ ঘন্টা বা তারচেয়ে বেশি সময় পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। 

মস্তিষ্কের বিকৃতি

এলএসডি সরাসরি মস্তিষ্কে আঘাত হানে। এলএসডি প্রাথমিকভাবে সুখস্মৃতিকে মনে করিয়ে দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে ওভার ডোজ বারবার নেয়ার ফলে মস্তিষ্কের বিকৃতি ঘটিয়ে দিতে পারে। 

দেশে এলএসডির অস্তিত্ব

দেশে এলএসডির অস্তিত্ব বরাবরই আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা অস্বীকার করে আসছিল। কিন্তু বিবিসির ২০১৮ সালে করা এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিদেশ থেকে এই মাদক স্বল্প পরিসরে বাংলাদেশে আনা হয়। প্রতি ডোজের জন্য ২১ হাজার টাকা খরচ করতে হয় তৎকালীন সময়ে। কাগজের আদলে থাকে বিধায় এটি খুব সহজেই বহন ও বিতরণ করা যায়। এই মাদক পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে এখন সহজলভ্য ব্যবহার হয়।

সম্মোহনের জন্য এলএসডি

এলএসডি’র হ্যালুসিনেশন তৈরি করার প্রবণতা থেকে অনেক মানুষই এই ড্রাগটি ব্যবহার শুরু করে। এমনকি ষাটের দশকে এই ড্রাগ থেকে নতুন একটি সাইকেডেলিক কালচার তৈরি হয়। জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী ও ব্যান্ড মেম্বাররা এই ড্রাগ ব্যবহার শুরু করে।

১৯৬৮ সালে বিশ্বব্যাপী এলএসডি নিষিদ্ধ করা হয়। নিষিদ্ধ হওয়ার আগপর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও গ্রেট ব্রিটেনের প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ এই ড্রাগ ব্যবহার করেছিল। বর্তমানেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে রিক্রিয়েশনাল ড্রাগ হিসেবে এলএসডি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে এই ড্রাগ ভারতে এখনো গোপনে ব্যবহার হয়।

Link copied!