প্রধানমন্ত্রীকে বের করে দেয়া রাষ্ট্রদূতের পরিবারের দূর্নীতি অনুসন্ধানের নির্দেশ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ২৫, ২০২৩, ০৯:৩০ পিএম

প্রধানমন্ত্রীকে বের করে দেয়া রাষ্ট্রদূতের পরিবারের দূর্নীতি অনুসন্ধানের নির্দেশ

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে বেলজিয়ামের বাড়ি থেকে বের করে দেয়া তৎকালীন রাষ্ট্রদূত সানাউল হকের পরিবারের দুর্নীতি অনুসন্ধানের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে আদালত।

খোদ প্রধানমন্ত্রীর মুখে বার বার উঠে এসেছে বেলজিয়ামের বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার ঘটনা। সেই ঘটনার ৪৭ বছর পর ঢাকার আদালতে ধরা পড়ল নাম পাল্টে সানাউল হকের পরিবারের জালিয়াতি। বাড়ি বিক্রি করতে করা হয় বাবার নাম বদল।

মানসিক স্বাস্থ্য আইন ২০১৮ এ সানাউল হকের বড় ছেলে প্রতিবন্ধী ইরতেফা মামুনের শরীর ও সম্পত্তির অভিভাবকত্ব চেয়ে ঢাকার জেলা জজ আদালতে মামলা করেন তার বোন ইতাত মামুন। যেখানে সানাউল হকের নাম লেখা হয় প্রয়াত এ এম সানাউল হক।

এ নামে গুলশানের আরেকটি বাড়ি ২০১৫ সালে নিজেদের নামে নিয়ে বিক্রিও করে সানাউল হকের পরিবার। গত বছরের ৪ আগস্ট এসব নথি দেখে বিচারকের সন্দেহ হলে জানতে চান সানাউল হকের বিস্তারিত পরিচয়। শুরুতে তারা পরিচয় প্রকাশ করতে অস্বীকার করলেও একপর্যায়ে স্বীকার করেন এই সানাউল হকই বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে বেলজিয়ামের দূতাবাসের বাড়ি থেকে বের করে দেয়া তৎকালীন বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূত ।

মামলার নথি ঘেঁটে দেখা যায়, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ৩ নম্বার রোডের ১৩ নম্বার বাড়িটির দাবিদার সানাউল হকের পরিবারের ৫ সদস্য। গুলশান ও ধানমন্ডির দুটো জমিই তারা পান আইয়ুব খানের শাসনামলে। তবে এরই মধ্যে গুলশানের বাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছেন। আদালত সূত্র বলছে, এখন নাম পাল্টে ধানমন্ডির বাড়িটি বিক্রি করতে পারলে হয়ত পুরোপুরি দেশ ছাড়বেন তারা।

 

প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা অতিথি হিসেবে ছিলেন বেলজিয়ামের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত সানাউল হকের বাসায়। সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর বদলে যান সাবেক রাষ্ট্রদূত সানাউল হক।

Link copied!