জুন ২৮, ২০২৫, ১২:০৯ পিএম
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যানের অপসারণ এবং অংশগ্রহণমূলক সংস্কারের দাবিতে সারাদেশের রাজস্ব কর্মকর্তারা আজ রাজধানীতে ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি শুরু করেছেন। সকাল থেকে বিভিন্ন জেলার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এনবিআরের মূল ফটক বন্ধ করে ভেতরে অবস্থান নিয়েছে বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা। আশপাশের এলাকায় নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা, মোতায়েন করা হয়েছে জলকামান ও রায়ট কার।
প্রতিবাদকারী কর্মকর্তাদের অভিযোগ, এনবিআর চেয়ারম্যান প্রকৃত সমস্যাগুলো এড়িয়ে গিয়ে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছেন। এর প্রতিবাদে আজ থেকে দেশের সব শুল্ক ও কর কার্যালয়ে শুরু হয়েছে টানা কর্মবিরতি।
একজন কর্মকর্তা জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাউকে এনবিআর ভবনে ঢুকতে বা বের হতে দিচ্ছে না, পুরো ভবন কার্যত অবরুদ্ধ।
এদিকে পরিস্থিতি সমাধানে গত বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়: ঘোষিত কর্মসূচি প্রত্যাহারের নির্দেশনা, সম্প্রতি দেওয়া কিছু বদলি আদেশ পুনর্বিবেচনার আশ্বাস এবং আগামী মঙ্গলবার তিন পক্ষের মধ্যে আলোচনা সভার আয়োজন।
তবে এসব নির্দেশনা উপেক্ষা করে আন্দোলনকারীরা ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি পালন অব্যাহত রেখেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের নেতারা সারা দেশে ঢাকামুখী এই কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন।
পরিষদের সভাপতি হাসান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার বলেন, “এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ ছাড়া এখন আর সংস্কারের কোনো পথ খোলা নেই। আমরা সংস্কার চাই, তবে তা হতে হবে সব পক্ষকে যুক্ত করে। নিপীড়নমূলক বদলি আদেশগুলো বাতিল করতে হবে।”
এই আন্দোলনের পেছনে রয়েছে সরকারের সাম্প্রতিক প্রশাসনিক পরিবর্তন। গত ১২ মে এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ বিলুপ্ত করে নতুন দুটি বিভাগ—রাজস্ব নীতি বিভাগ ও রাজস্ব প্রশাসন বিভাগ—গঠনের ঘোষণা দেয় সরকার। এরপর থেকেই এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন কর্মকর্তারা।