অক্টোবর ৯, ২০২২, ১১:১৯ পিএম
যারা ইসলামের কথা বলে ফেতনা-ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে ধর্মের বদনাম ও অমঙ্গল করছে, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে রোববার (৯ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আনজুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারিয়া সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত শান্তি মহাসমাবেশ ও শোভাযাত্রায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল উপায়ে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'ইসলামের কথা বলে যারা হত্যাকাণ্ড করে, মানুষের হাত-পায়ের রগ কাটে, তারা ইসলামের বন্ধু নয়, ইসলামের শত্রু। কোনো যুদ্ধ-বিগ্রহের মাধ্যমে এই দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়নি অথচ অনেকে ওলী-আকরামদের বিরুদ্ধে কথা বলে, তারা আসলে ফেতনা সৃষ্টিকারী।'
হাছান মাহমুদ বলেন, ইসলামের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা যা করেছেন, বঙ্গবন্ধুর পরে আর কোনো সরকার বা কেউ সেটি করেননি। তথ্য-উপাত্ত দিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যার নির্দেশে সারাদেশে এক লাখ মসজিদভিত্তিক মক্তব প্রতিষ্ঠা হয়েছে, যেখানে শিক্ষকরা মাসিক ৫ হাজার ২ শত টাকা করে ভাতা পান। শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে জেলা-উপজেলায় ছয়শত মসজিদ নির্মিত হয়েছে ও হচ্ছে, সেগুলোর দিকে তাকালে চোখ জুড়িয়ে যায়। তিনি কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি দেওয়ার পর তাদের অনেকেরই সরকারি চাকুরি হয়েছে।'
মহানবী (সা:) এর জন্মদিন ঈদ ই মিলাদুন-নবী সারাবিশ্বের মুসলমানদের জন্য আনন্দের দিন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'রোহিঙ্গারা যাতে পূর্ণ অধিকার নিয়ে তাদের নিজের দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারে এবং ফিলিস্তিনিরাসহ পৃথিবীর সমস্ত মুসলমানদের ওপরে নির্যাতন ও তাদের কষ্ট যাতে দূর হয় সে জন্য মহান স্রষ্টার দরবারে ফরিয়াদ জানাই।'
মাইজভান্ডারিয়া নেতা আল্লামা শাহসুফী সৈয়দ মঈনুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে ও ত্বরীকত হজরতুলহাজ্ব শাহসুফী সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমেদের পরিচালনায় সমাবেশে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু প্রধান অতিথি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক উদ্বোধক, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোহম্মদ ফরিদুল হক খান বিশেষ অতিথি হিসেবে ও সংসদ সদস্য নুরুল আমিন রুহুলসহ দেশি-বিদেশি অতিথিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
আজ থেকে ১৪৫২ বছর আগে ৫৭০ সালে আরবি মাস রবিউল আউয়ালের ১২ তারিখে এই দিনে ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হযরত মুহাম্মদ (সা:) আরবের মক্কা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আব্দুল্লাহ, মাতার নাম আমিনা। ৬৩ বছর বয়সে ৬৩২ সালের এই দিনেই ইহধাম ত্যাগ করেন তিনি। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলিমরা দিনটি ঈদ ই মিলাদুন-নবী হিসেবে পালন করে।