জুন ২৫, ২০২৩, ০৫:১৫ এএম
ফরিদপুরের ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে আগুনে পুড়ে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্স থেকে উদ্ধার হওয়া সাতজনের লাশের পরিচয় মিলেছে।
শনিবার সকালে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় অ্যাম্বুলেন্সে অগ্নিকাণ্ডে যে আটজনের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে সাতজনই এক পরিবারের। ঈদ করতে যাচ্ছিলেন গ্রামের বাড়িতে।
৫০ বছর বয়সী তাসলিমা বেগমের সঙ্গে পুড়ে মারা গেছেন তার দুই মেয়ে কমলা (৩০) ও বিউটি বেগম (২৬), কমলার ছেলে আরিফ (১২), হাসিব (১০), মেয়ে আফসা (১) এবং বিউটির ছেলে মেহেদী (১০)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের ফেলাননগর গ্রামের সৌদিপ্রবাসী আজিজার রহমানের স্ত্রী তাছলিমা বেগম হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে এক মাস আগে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা শেষে বড় মেয়ে কমলা বেগমের বাসায় ছিলেন। আজ শনিবার সকালে তাঁরা ঢাকা থেকে বোয়ালমারী গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। পথিমধ্যে দুর্ঘটনায় সাতজনই প্রাণ হারান।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বোয়ালমারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোশারেফ হোসাইন বলেন, ‘খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেওয়া হয়। শোকাহত পরিবারে শোকের মাতম চলছে। খুবই মর্মান্তিক হৃদয়বিদারক ঘটনা, যা সহ্য করার মতো নয়।’