মাদক সেবনের প্রতিবাদ করায় বরিশালে নগরীতে এক কাঠমিস্ত্রিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর অভিযুক্তকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন এলাকাবাসী। তার সর্বোচ্চ সাজার দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে মাদক সেবনের পর বাঘিয়া কালিমাতার মন্দির এলাকায় চায়ের দোকানে বিভিন্ন জনকে গালমন্দ করে কুডু। তখন কাঠমিস্ত্রি দিপু হালদার প্রতিবাদ করলে তাকে হত্যার হুমতি দেয় কুডু।
এরপর রাতে একই স্থানে প্রকাশ্যে দিপু হালদারকে কুপিয়ে জখম করা হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শেরে ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
দিপু হালদারের ভাই সজল হালদার জানান, বাসা থেকে বের হয়ে হঠাৎ বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনি। এগিয়ে গিয়ে দেখি দিপু পড়ে আছে। এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
শেরে ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মোজাফফর আহম্মেদ জানান, দিপুকে হাসপাতালে আনা হয় রাত ৯টার দিকে। আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি।
ঘটনার পর কুডুকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা। অভিযুক্তের দাবি, পূর্ব শত্রুতা জেরে দিপুর ওপর হামলা চালায় সে। মূল অভিযুক্ত ডেভিড মিস্ত্রি কুডু বলেন, আমারে ওরা সকালে মেরেছিল। এ জন্য আমি চাকু দিয়ে ছুরিকাঘাত করি।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার শেখ মোহাম্মদ সেলিম বলেন, এ ঘটনা তদন্ত করে আর কেউ জড়িত আছে কিনা দেখে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নিহত দিপু হালদার বরিশাল নগরীর বাঘিয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা রমেন্দ্র নাথ হালদারের ছেলে।