ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩, ০৯:২৮ এএম
ইংরেজি, রুশ, স্প্যানিশসহ ছয়টি ভাষার পাশাপাশি বাংলাকেও জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রভাত ফেরিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি এ দাবি জানান।
এ সময় অন্যদের মধ্যে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
একুশের চেতনা হোক স্বাধীনতা বিরোধীদের বিপক্ষে লড়াইয়ের প্রেরণা-উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বাংলা ভাষা অত্যন্ত সমৃদ্ধ একটি ভাষা। এই ভাষা জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হওয়ার দাবি রাখে। আমরা জাতিসংঘের কাছে বাংলা ভাষাকে দাপ্তরিক ভাষা করার জন্য আনুষ্ঠানিক দাবি জানাচ্ছি।”
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “একুশে ফেব্রুয়ারি গর্বের দিন। আজকের এদিনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হচ্ছে। অথচ ৩৫ কোটি মানুষের মায়ের ভাষা বাংলা ভাষা। এ ভাষা আজ পর্যন্ত জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষার মর্যাদা পায়নি। জাতিসংঘের কাছে আমাদের দাবি, এদিনে মাতৃভাষা দিবস পালিত হচ্ছে। আমাদের মাতৃভাষা বিশ্বের অন্যতম সেরা ভাষা হিসেবে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। আমরা এ আশা করবো।”
এর আগে একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে প্রধামন্ত্রী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে দ্বিতীয়বার শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাসহ বিশিষ্টজনদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে জাতিসংঘে মোট ছয়টি দাপ্তরিক ভাষা রয়েছে। ইংরেজি, চাইনিজ মান্দারিন, রুশ,স্প্যানিশ, ফ্রেঞ্চ ও আরবি। ইংলিশ, ফ্রেঞ্চ, রুশ ও চাইনিজ ভাষা ১৯৪৬ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
অফিসিয়াল ডকুমেন্টগুলো প্রচারের জন্যও এই ছয়টি অফিশিয়াল ভাষা ব্যবহার করা হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত একটি নির্দিষ্ট ডকুমেন্ট সম্পূর্ণ ছয়টি অফিশিয়াল ভাষায় না পাওয়া যায়, ততক্ষণ পর্যন্ত সেটি প্রকাশ করা হয়না। সাধারণত, ছয়টি ভাষার প্রত্যেকটি সমানভাবে অনুমোদিত।