সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজার সংলগ্ন জামে মসজিদে মাসুদ রানার লেখক কাজী আনোয়ার হোসেনের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় যোহরের নামাজের পর তার জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার মায়ের কবরে তাকে সমাহিত করা হবে।
কাজী আনোয়ার হোসেনের চাচাত ভাই কাজী রওনক হোসেন বলেন, “ওনার শূন্যতা পূরণ করা সম্ভব না৷ যারা চলে যান তাদের কারও শূন্যতাই পূরণ করা যায় না। কালকে তার মৃত্যুর পর ভক্তরা যেভাবে স্মৃতিচারণ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তা অকল্পনীয়।”
তিনি আরও বলেন, “ওনাকে বাংলা একাডেমি পুরষ্কার বা রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া হয়নি এতে তার বা তার পরিবার অসন্তুষ্ট নন। তিনি এমন কিছু কখনো প্রত্যাশাও করেননি। তিনি একজন নিভৃতচারী মানুষ ছিলেন। যখন এন্ড্রোয়েড, মোবাইল ছিল না কিন্তু তখনও যেভাবে উনি তরুণদের উদ্দীপ্ত করেছেন সেটা এক অসাধারণ ব্যাপার।”
কাজী আনোয়ার হোসেনের পূত্রবধু মাসুমা মাইমুর বলেন, “কাজী আনোয়ার হোসেনের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মায়ের কবরে তাকে করা শায়িত হবে।”
কাজী আনোয়ার হোসেনের আত্মীয় এ বি এম সাদিক বলেন, “তিনি গত দুই বছর ধরেই কিছুটা অসুস্থতায় ভুগছিলেন। শেষ ছয় মাস বেশি অসুস্থ ছিলেন। নতুন করে লেখালেখি সেরকম ভাবে করতে পারেননি৷ ডিমেনশিয়ায় ভুগছিলেন। করোনার সময়টাতে খুব রুটিনমাফিক চলতেন, কারও সঙ্গে তেমন দেখা করতেন না।' তিনি বলেন, 'মাসুদ রানার স্বত্ত্ব দাবি করাতে তিনি একটু ভেঙ্গে পড়েছিলেন। কারণ যাকে তিনি কাজের সুযোগ করে দিয়েছেন সেই যদি এমন করে তাহলে স্বাভাবিক তিনি সেটা ভালভাবে নিতে পারবেন না। তবে তিনি এগুলো নিয়ে কখনোই ভাবতেন না।”