১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করে মঞ্চে বক্তৃতা করার সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় ১৫ আগস্ট মা-বাবা হারানো যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ ও তার ভাই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে কাছে ডাকেন এবং পিতা-মাতা হারানোর বেদনাতুর স্মৃতিচারণ করেন সরকারপ্রধান। এসময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
নিজের বাবা, মা, ছোট্ট ভাই রাসেলসহ পরিবারের যারা সেদিন ঘাতকের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের কথা বলতে গিয়ে এক পর্যায়ে চোখ ভিজে আসে সরকারপ্রধানের।
‘আয় কাছে আয়’ ডেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে ওরা বড় হয়ে গেছে। ৫ বছরের পরশ ও ৩ বছরের তাপস, বাবা-মায়ের লাশ গুলি খেয়ে পড়ে আছে। দুটি বাচ্চা পাশে চিৎকার করছে, বাবা ওঠো-মা ওঠো। কেউ সাড়া দেয়নি।’
এ সময় শেখ তাপস ও পরশ পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। সেই দৃশ্য দেখে অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তাদের দুই ভাইকে কাছে ডেকে নেন ফুফু শেখ হাসিনা।
প্রথমে কাছে গিয়ে ফুফুর পায়ে হাত দিয়ে সালাম করেন যুবলীগ সভাপতি পরশ। পরে তার পাশে গিয়ে দাঁড়ান ঢাকা দক্ষিণের মেয়র তাপস।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কী নিষ্ঠুর নির্মম ঘটনা ঘটেছে আপনারা একটু চিন্তা করে দেখেন। সেই হত্যার পর বিচার চাওয়ার কোনও অধিকার ছিল না আমাদের। মামলা করার অধিকার ছিল না। আমি আর রেহানা বিদেশে ছিলাম। সে জন্য বোধ হয় বেঁচে গিয়েছিলাম। আর এ বাঁচা কী দুঃসহ বাঁচা সেটা শুধু ভুক্তভোগীরাই জানেন।’
এ সময় ১৫ আগস্টে তিনটি বাড়িতে ঘাতকদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।