জুন ১৭, ২০২৩, ০৫:০৯ পিএম
জামালপুরে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যার তিন দিন পর গ্রেফতার হয় মূল অভিযুক্ত বকশীগঞ্জের সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু। গ্রেফতারের পর তাঁকে ঢাকায় নিয়ে আসছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার (১৭ জুন) দুপুরে সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। মাইক্রোবাসে করে ঢাকায় আনা হচ্ছে। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
তবে এখনও গ্রেফতার হননি হামলায় সরাসরি অংশ নেয়া চেয়ারম্যানের ছেলে। নাদিম হত্যায় চেয়ারম্যান বাবুসহ এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে বাবু ছাড়া অন্যদের পরিচয় জানানো হয়নি। গ্রেফতার অন্য ১০ জন চেয়ারম্যান বাবুর অনুসারী বলে জানা গেছে।
হত্যার তিন দিন পর শনিবার দুপুরে বকশীগঞ্জ থানায় ২২ জনের নাম উল্লেখসহ ৪৭ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম। মামলার প্রধান আসামি সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু।
এদিকে নাদিম হত্যার ঘটনায় মাহমুদুল আলম বাবুকে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন রাতে পেশাগত দায়িত্বপালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে জামালপুরের বকশীগঞ্জ বাজারের পাটহাটি এলাকায় নাদিমের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৩টায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত সাংবাদিক বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোরের জামালপুর প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। একইসাথে তিনি একাত্তর টিভির স্থানীয় প্রতিনিধি ছিলেন।
নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগমের অভিযোগ, সংবাদ প্রকাশের জেরে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর লোকজন নাদিমের ওপর হামলা চালান। হামলার সময় বাবু নিজেও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।