পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) পদমর্যাদার ৩২ কর্মকর্তাকে উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বুধবার মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে পদোন্নতি পাওয়া অন্যদের মধ্যে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৪ এর পরিচালক মোজাম্মেল হক, এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের মো. মনিরুজ্জামান, ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান আসাদুজ্জামান, ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মাহাবুব আলম, র্যাবের পরিচালক শেখ মোহাম্মদ রেজাউল হায়দার, নৌ পুলিশের মোল্যা নজরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদের নাম রয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের সর্বশেষ নামটি হচ্ছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ।
হারুন অর রশীদ ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগে অতিরিক্ত উপ-কমিশনার থাকাকালে ২০১১ সালে পুলিশের দিকে তেড়ে যাওয়া তৎকালীন বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুককে পিটুনি দিয়ে আলোচিত হয়েছিলেন।
পরে ডিএমপির লালবাগ বিভাগে কয়েক বছর দায়িত্ব পালনের পর গাজীপুরের পুলিশ সুপার হন তিনি। সেখানে কয়েক বছর দায়িত্ব পালন শেষে ২০১৮ সালের মে মাসে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় বিএনপি তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তোলে। এরপর ওই বছরের আগস্টের শুরুতে তাকে ঢাকা মহানগর পুলিশে বদলি করা হয়।
একই বছরের ২ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের কয়েক দিন আগে হারুনকে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করে সরকার।
নারায়ণগঞ্জে ১১ মাসের দায়িত্বে সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ‘জিহাদ’ ঘোষণা করেন হারুন। হকার ও অবৈধ দখল উচ্ছেদসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়ে তিনি যেমন প্রশংসিত হয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
২০১৯ সালে পারটেক্স গ্রুপের কর্ণধার এম এ হাশেমের ছেলে আমবার গ্রুপের চেয়ারম্যান শওকত আজিজের স্ত্রী ও সন্তানকে আটক করেও আলোচনার সৃষ্টি করেন হারুন।
হারুন অর রশীদ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন।