মার্চ ৪, ২০২৩, ১২:২৭ পিএম
ছাত্রলীগের হাতে নির্যাতনের শিকার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী ফুলপরী নিরাপত্তার সাথে ক্যাম্পাসে ফিরেছেন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় পাবনা ও কুষ্টিয়া পুলিশের নিরাপত্তায় বাবা আতাউর রহমানকে সাথে নিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরেন তিনি।
গত বুধবারই বিচারপতি জে বি এম হাসান ও রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চের এক আদেশে অস্থায়ীভাবে বহিষ্কার হন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী অন্তরাসহ ৫ জন। তাঁদের বিরুদ্ধে ফুলপরিকে নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় হাইকোর্ট এই আদেশ দেন। হাইকোর্ট আরও নির্দেশ দেন ভুক্তভোগী ফুলপরী যে হলে থাকতে চান তাঁকে যেন সে হলে বরাদ্দ দেওয়া হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ সকালে ফুলপরী ক্যাম্পাসে ফিরেন এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে থাকতে ইচ্ছা পোষণ করেন।
প্রক্টর অধ্যাপক শাহদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘পাবনা এবং কুষ্টিয়া পুলিশের মাধ্যমে তাঁকে নিরাপত্তার সাথে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁর সাথে ছিলেন সহকারী প্রক্টর শাহাবুব আলম। ক্যাম্পাসে এসে ফুলপরী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে থাকার ইচ্ছা পোষণ করেন। আমরা হল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি, এখনো প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’
গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ফুলপরিকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ ওঠে শাখা ছাত্রলীগ সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাচ্ছুম ও মাওয়াবিয়া, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন ঊর্মির বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রশাসন ও শাখা ছাত্রলীগ কর্তৃক পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। এ ঘটনায় হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হলে হাইকোর্টের নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন।
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দোষী ছাত্রলীগ নেত্রী ও তাঁদের সহযোগীদের সাময়িক বহিস্কারের আদেশ দেয় হাইকোর্ট।