ডিসেম্বর ২, ২০২৩, ০৩:০৮ পিএম
 
						
                            সংগৃহীত ছবি
তাপমাত্রা বৃদ্ধির মূল কারণ- জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের লক্ষ্যে তৃতীয় ও চূড়ান্ত শুনানি করলেন সারা বিশ্বের সংসদ সদস্যদের সংগঠন ‘পার্লামেন্টেরিয়ান ফর ফসিল ফুয়েল ফ্রি ফিউচার’।
শনিবার বাংলাদেশ প্যভিলিয়নে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এ শুনানিতে অংশ নেন জলবায়ু বিষয়ক বিশ্বের বিভিন্ন সেক্টরের বিশেষজ্ঞরা।
প্রধানমন্ত্রীর জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত ও পার্লামেন্টেরিয়ান ফর ফসিল ফুয়েল ফ্রি ফিউচারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা সারা বিশ্বের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে মতামত নিচ্ছি। সকলের মতামত নিয়ে আমরা আমাদের প্রতিবেদন তৈরি করব।
‘প্রথমে আমরা করেছিলাম নিউইয়র্কে ইউএন জেনারেল এ্যাসেম্বলির ক্লাইমেট উইংয়ের সাথে। দ্বিতীয়টি করেছিলাম ওয়াশিংটন ডিসিতে ইউএস সিনেটে। আর আজকে আমরা করছি এখানে। এ তিনটি শুনানির সকল মন্তব্য, পরামর্শ আমরা একত্রিত করে কপ সভাপতিকে দিব। আমরা আশা করব গ্লোবাল স্টকটেক, মানে আমাদের যেটা করার দরকার ছিল আর আমরা কি করেছি এবং এর ভিত্তিতে ভবিষ্যতে আমাদের কি করতে হবে, আমরা মনে করছি যে আমাদের এই প্রতিবেদন গ্লোবাল স্টকটেককেও সাহায্য করবে।’
সাবের হোসেন চৌধুরী আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের বক্তব্য দিচ্ছি না। আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে বিশেষজ্ঞদের থেকে বক্তব্য আহ্বান করছি। বরফ গলে যাচ্ছে, এটার ওপর যারা বিশেষজ্ঞ। আইপিসিসি রিপোর্ট যারা করেছে, তাদের আমরা নিয়ে আসছি। এই বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য ও তাদের যে সাক্ষ্য সেটা দিয়েই আমরা আমাদের প্রতিবেদন তৈরি করব।’
তিনি আরও বলেন, এখন এনার্জি মিক্সেও বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেছে। যদি কয়লা পোড়ানো বন্ধ করেন, তাহলে এর বিকল্প কি হবে? এখানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি রয়েছে। পারমাবিক জ্বালানি রয়েছে। এটা কম কার্বন নিঃসরণ করে। এখন এই বিষয়টি নিয়ে কথা হবে। আমি মনে করি এটা পজেটিভ। কারণ আমরা মানসিব প্রস্তুতি নিয়ে নিচ্ছ, যে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসতে হবে।
বিজ্ঞান বলে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রীর মধ্যে রাখতে হলে, জীবাশ্ম জ্বালানিতে নতুন কোন বিনিয়োগ হতে পারবে না। এখন আমরা যেটা করছি, বিশ্বব্যাপী একটা শুনানি করছি। এখানে পৃথিবীর সমস্ত অঞ্চল থেকে সংসদ সদস্যরা রয়েছেন। কানাডা, জার্মানি, দক্ষিণ আমেরিকা, এশিয়া, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে থেকে ৮৫০ জনের মতো সংসদ সদস্য আমাদের সংগঠনের সদস্য।
এখানে একেবারে জ্বালানি তেল একবারে বন্ধ করার বিষয়টি চলে আসে। এটা শুধু আমরা বলছি না। জাতিসংঘের মহাসচিবও বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে উন্নত দেশগুলোতে জ্বালানি তেল থেকে সরে আসতে হবে। যদি তা এক দশমিক পাঁচের মধ্যে রাখতে চায়। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য সময়টা হয়তো আরেকটু বেশি হবে।
মেহেদী আল আমিন, দুবাই থেকে
 
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                    