আগস্ট ৭, ২০২২, ০৭:৫৩ পিএম
চীনের সঙ্গে ভারতের বিতর্কিত সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটারের কম দূরত্বের একটি এলাকায় ভারতের সাথে যৌথভাবে সামরিক মহড়া চালাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আসছে অক্টোবরেই এই মড়া অনুষ্ঠিত হবে বলে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন’র প্রতিবেদনে জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, ভারতের উত্তরাখণ্ডের আউলিতে ১০ হাজার ফুট উঁচু এলাকায় এই মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। মহড়ায় অনেক উঁচু এলাকায় যুদ্ধের প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
আউলি স্থানটি লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ৯৫ কিলোমিটার দূরে এলএসি দুর্গম পাহাড়ি ভূখণ্ড। এই এলাকাটি ১৯৬২ সালের যুদ্ধের পর ভারত ও চীনের বিতর্কিত সীমান্ত মোটামুটিভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। দেুই দেশের বার্ষিক যৌথ মহড়ার অংশ হিসেবে ‘যুধ অভ্যাস বা যুদ্ধ অনুশীলন’ নামে পরিচিত ১৮তম এই মহড়া অনুষ্ঠিত হবে বলে সিএনএন’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
২০২০ সালের জুনে হিমালয় অঞ্চলে ভারত ও চীন সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ২৪ জন নিহত। এর মধ্যে ২০ ভারতীয় সেনা ও চীনের ৫ সেনা। ওই সংঘর্ষের পর থেকে চীন ও ভারতের সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে।
সম্প্রতি সীমান্তে অবস্থিত প্যাংগং সো হ্রদে চীনের একটি সেতু নির্মাণের কারণে দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে। নরেন্দ্র মোদি সরকার চীনের এই পদক্ষেপকে ‘অবৈধ দখলদারত্ব’ অভিহিত করে নিন্দা জানিয়েছে। এদিকে, বিতর্কিত সীমান্তের কাছে চীনের সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর ঘটনাকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন সেনাবাহিনীর প্যাসিফিক কমান্ডিং জেনারেল চার্লস ফ্লিন। সম্প্রতি ভারত সফরে এসে তিনি ওই মন্তব্য করেন। এতে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছে শি জিনপিংসরকার।
যৌথ মহড়ার বিষয়ে জানতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র সিএনএনকে বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে অংশীদারত্ব মুক্ত ও অবাধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য আমাদের যৌথ দৃষ্টিভঙ্গির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলোর একটি।’
মার্কিন ওই মুখপাত্র বলেন, “বৃহত্তর এই প্রচেষ্টার মধ্যে রয়েছে মহড়া ও প্রশিক্ষণ। যুধ অভ্যাস তেমনই একটি বার্ষিক দ্বিপক্ষীয় মহড়া। আঞ্চলিক নিরাপত্তার অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পারস্পরিক দক্ষতা বিনিময়ের বিষয়টি উন্নত করতে এবং আমাদের নিজ নিজ সক্ষমতা বাড়াতে এই মহড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।”