ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩, ০৫:০১ পিএম
তুরস্ক-সিরিয়ায় ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা যেন রেকর্ড গড়ার পথে যাত্রা শুরু করেছে। মৃত্যুর তালিকা কেবল বড় হয়ে যাচ্ছেই। দুটি দেশের ১১ হাজার জনে দাঁড়িয়েছে মৃতের সংখ্যা।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে দেখা যায়, তুরস্ক ও সিরিয়া কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে নিহতের সংখ্যা তুরস্কে ৮ হাজার ৫৭৪ জন, আর সিরিয়ায় ২ হাজার ৫৩০ জন।
দুর্যোগের মাত্রা যতই স্পষ্ট হয়ে উঠছে, নিহতের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও তত বাড়ছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা। ভয়াবহ এ দুর্যোগে হাজার হাজার শিশু মারা যেতে পারে বলে জানান তিনি।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানে ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী এ ভূমিকম্প। এর ১১ মিনিট পরই আঘাত হানে ৭.৬ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প। তুরস্ক-সিরিয়া ছাড়াও এসব ভূমিকম্প পাশের সাইপ্রাস ও লেবাননেও অনুভূত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গাজিয়ান্তেপ শহরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি প্রদেশে ৩ মাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ঘোষণায় তিনি বলেন, ভূমিকম্প বিপর্যস্ত এলাকার অংশ হিসেবে ১০টি শহরে জরুরি অবস্থা ঘোষিত এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
এর আগে, ১৯৯৯ সালে আঘাত হানা ৭.৪ মাত্রার এক ভূমিকম্পে তুরস্কে ১৭ হাজার মানুষ প্রাণ হরায়। আর আহত হয় ৩৩ হাজারের বেশি মানুষ। এবার এরই মধ্যে আহতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।