রবিবার সকাল থেকে নিখোঁজ হওয়া নেপালের সেই বিমানের সন্ধান পেয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। ২২ জন আরোহী নিয়ে নিখোঁজ বিমানটি মাসতাং জেলার কোয়াং গ্রামের একটি নদীর তীরে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
নেপালের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র নারায়ণ সিলওয়ালের বরাত দিয়ে রবিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভ ‘র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হিমালের পাদদেশে লামচে নদীর কাছে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। স্থল ও আকাশপথে নেপালের সেনাবাহিনী দুর্ঘটনাস্থলে গেছেন বলেও জানান সেনাবাহিনীর ওই মুখপাত্র।
প্রসঙ্গত, নেপালের বেসরকারি তারা এয়ারলাইন্সের বিমানটি নেপালের পোখরা থেকে উড্ডয়নের পর স্থানীয় সময় রবিবার সকাল ১০টা থেকে নিখোঁজ হয়। বিমানটিতে ১৯ জন যাত্রী ও ৩ ক্রুসহ মোট ২২ জন আরোহী ছিলেন। আরোহীদের মধ্যে চার ভারতীয়।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, নেপালের অভ্যন্তরীণ রুটের এই ফ্লাইটটি পোখরা থেকে জমসমের দিকে যাচ্ছিল। তবে স্থায়ীয় সময় সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে হঠাৎই বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিমানটির নেপালের পশ্চিমাঞ্চলীয় পার্তব্য শহর জমসম বিমানবন্দরে ১০টা ১৫ মিনিটে অবতরণের কথা ছিল বলেও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়।
পোখরার প্রধান জেলা কর্মকর্তা নেত্র প্রাসাদ শর্মার বরাতে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই’র এক প্রতিবেদনে বলেন, বিমানটির সঙ্গে সবশেষ মাসতাং জেলা পর্যন্ত যোগাযোগ ছিল।
নেপালের বিমান পরিবহন শিল্পে নিরাপত্তার মানও তত ভালো নয়। নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের আকাশসীমায় সব নেপালি এয়ারলাইন্সের বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করে।
২০১৮ সালে বাংলাদেশি বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস বাংলার একটি বিমান নেপালের কাঠমান্ডু বিমান বন্দরের কাছে বিধ্বস্ত হলে ৫১ জন নিহত হয়। তবে এই দুর্ঘটনার জন্য পরে পাইলটের ভুলকে দায়ী করা হয়।এর আগে ১৯৯২ সালে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মারা গিয়েছিল ১৬৭ জন।