অটোমোবাইল প্রতিষ্ঠানের ক্যান্টিনে সমুচার ভেতর থেকে কনডম, সুপারি ও পাথর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে পাঁচজনের বিরুদ্ধে। তারা হলেন- রহিম শেখ, আজহার শেখ, মাজহার শেখ, ফিরোজ শেখ ও ভিকি শেখ। তাদের বিরুদ্ধে এগুলো দিয়ে সমুচা রান্নার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ষড়যন্ত্র করে এসব ‘ঘৃণিত অখাদ্য’ রাখা হয়েছিল সমুচার ভেতরে। এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনেতে।
অভিযুক্তদের মধ্যে সেখানে সমুচা-শিঙাড়াসহ অন্যান্য খাবার সরবরাহের দায়িত্বে ছিলেন একটি সাব-কন্ট্রাক্টিং ফার্মের দুজন কর্মী এবং অন্য তিনজন একটি ফার্মের অংশীদার। খাবারে ভেজাল সংক্রান্ত সমস্যার জন্য আগেই তাদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হয়েছিল। ক্যাটালিস্ট সার্ভিস সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেড নামের ওই অটোমোবাইল প্রতিষ্ঠানের ক্যান্টিনে খাবার সরবরাহের দায়িত্বে ছিল মনোহর এন্টারপ্রাইজ নামে একটি সংস্থা।
অটোমোবাইল প্রতিষ্ঠানটির কিছু কর্মী সমুচা খেতে গিয়ে তাতে জন্ম নিরোধক কনডম, সুপারির টুকরা ও পাথরকুচি খুঁজে পান। এরপরই এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করে প্রতিষ্ঠানটি। মনোহর এন্টারপ্রাইজের কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ফিরোজ শেখ ও ভিকি শেখ নামে দুই কর্মচারী কনডম, গুটখা ও পাথর সমুচার ভেতরে রেখেছিলেন। চিখলি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ‘ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৮ ধারা ও ১২০-বি ধারায় মামলা করেছে পুলিশ।’
অভিযুক্ত ফিরোজ ও ভিকি দুজনেই প্রতিষ্ঠানটির কর্মী। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে, বাকি তিনজন তাদের সমুচায় এগুলো রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিছুদিন আগে অটো সংস্থার ক্যান্টিনে খাবার সরবরাহের চুক্তি পেয়েছিল এন্টারপ্রাইজ। তবে আগে এসআরএ এন্টারপ্রাইজ নামে অন্য সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হয়। তার প্রতিশোধ নিতেই এমন ঘৃণিত কাজ করা হয়েছে বলে অনুমান করছে পুলিশ।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস