আগস্ট ৩, ২০২৩, ১০:১১ পিএম
সোফির সাথে ট্রুডোর পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। ট্রুডোর ছোট ভাইয়ের সহপাঠী সোফি। সে হিসেবে বাড়িতে আসা-যাওয়া ছিলই। কিন্তু সে সময় পরিচয় থেকে পরিণয় হওয়ার বিষয়টি দুজনের মনেও আসেনি।
আবার নতুন করে দুজনার পরিচয় হয় ২০০৩ সালে। এক তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে। সে সময় ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাদের।
কিছুদিন পর ট্রুডোর সাথে ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন সোফি। সোফি লেখেন, ট্রুডোর সাথে দেখা-সাক্ষাতের ব্যাপারটি তিনি উপভোগ করেছেন। যদিও ট্রুডোর কোনো রিপ্লাই আসেনি।
সে বছরই গ্রীষ্মের শেষ দিকে দেখা হয়ে যায় ট্রুডো-সোফির। এ সময় ট্রুডোকে উপেক্ষা করার চেষ্টা করেন সোফি। তখনই সোফিকে ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তাব দেন ট্রুডো।
সে সময় সোফি বলেন, ট্রুডোর যদি তাঁর সাথে ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছে থাকে তাহলে যেন ই-মেইলের জবাব দেন।
তারপর প্রথম ডেটেই সোফিকে ট্রুডো বলেন, সোফির সাথেই বাকি জীবন কাটাতে চান তিনি। এ কথার পর দুজনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এগিয়ে চলেন ট্রুডো-সোফির সম্পর্কের গল্প।
প্রথম ডেটের এক বছরের বেশি সময় পর সোফিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন ট্রুডো। ঘর বাঁধেন ২০০৫ সালের ২৮ মে। ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের তিন সন্তান।
দুজনার পরিচয়-প্রেম-বিয়ে সবসময়ই ‘ঈর্ষণীয়’ হওয়ার মতো ছিল সবার কাছে।
এমন আকর্ষণীয় ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনের বিচ্ছেদ টানলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (৫১) ও সোফি গ্রেগোয়ার (৪৮)।
একসাথে বাকি জীবন কাটানোর স্বপ্নের এমন পরিণতি হতে পারে হয়তো কেউ ভাবেনওনি।