ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩, ১১:০৪ পিএম
অত্যাধুণিক সামরিক বাহিনী গড়ে তুলতে জলে, স্থলে ও অন্তরীক্ষে পরমাণু অস্ত্র বহনকারী ক্ষেপণাস্ত্র কাঠামোকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে রাশিয়া। পাশাপাশি চলতি বছরই নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন এবং নতুন পারমাণবিক সাবমেরিন যুক্ত করে নিজেদের পারমাণবিক শক্তি বৃদ্ধিতে আরও মনোযোগ দিচ্ছে দেশটি।
ইউক্রেন হামলার এক বছর পূর্ণ হওয়ার এক দিন আগে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দেওয়া এক ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এসব কথা বলেন।
ওরই ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন, পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিধিনিষেধ তিনি ভেঙে ফেলতে প্রস্তুত, যার মধ্যে পারমাণবিক পরীক্ষার উপর বৃহৎ শক্তির স্থগিতাদেশের বিষয়টিও রয়েছে।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন আমলে রেড আর্মি ডে হিসাবে পরিচিত ‘পিতৃভূমির রক্ষক’ দিবসের ভাষণে পুতিন নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে সোভিয়েত বিজয়ের কথা স্মরণ করে রাশিয়ার সার্বভৌমত্বের নিশ্চয়তা দিতে আধুনিক সশস্ত্র বাহিনীর প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
স্থল, সমুদ্র এবং আকাশে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের কথা উল্লেখ করে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “আগের মতোই, আমরা তিনটি ক্ষেত্রেই পারমাণবিক অস্ত্র শক্তিশালী করার দিকে আরও মনোযোগ দেব।” এসময় চলতি বছরই আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সারমাটকে মোতায়েনের ঘোষণাও দেন তিনি।
তরল জ্বালানিতে পরিচালিত আরএস-২৮ নামের আন্তঃমহাদেশীয় সারমাট ক্ষেপণাস্ত্রটির ডাকনাম ‘শয়তান-২’। ৩৫ মিটার আকারের ক্ষেপণাস্ত্রটি ১৮ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। পারমাণবিক ওয়ারহেড থাকায় এই ক্ষেপণাস্ত্র পৃথক ১০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে বলে সামরিক বিষেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “রাশিয়া বিমান থেকে ছোড়া হাইপারসনিক কিনজল ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যাপক উৎপাদন চালিয়ে যাবে এবং সমুদ্রভিত্তিক জিরকন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যাপক সরবরাহ শুরু করবে।”