আফগানিস্তানে কোনো নারীকে জোরজবরদস্তি করে বিয়েতে বাধ্য করা যাবে না এবং কোনো নারীর স্বামী মারা গেলে তার সম্পত্তিতে বিধবা স্ত্রীর অংশ থাকবে। দেশটির তালেবান সরকারের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার নামে শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) এ ডিক্রি জারি করা হয়।
ডিক্রিতে, ইসলামিক আমিরাতের নেতৃত্ব সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ডিক্রিতে নারীদের বিবাহ ও বিধবাদের অধিকার বিষয়ে বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, সংস্কৃতি ও তথ্য মন্ত্রণালয়কে চলমান নিপীড়ন রোধে নারী অধিকারের এ বিষয়গুলো প্রকাশ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ডিক্রিতে।
বিয়ে ও সম্পত্তি নিয়ে নির্দেশনা দিলেও ডিক্রিতে নারীদের শিক্ষাজীবন ও কর্মক্ষেত্রে প্রবেশাধিকারের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
গত আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে আবারও ক্ষমতা দখল করে তালেবান। এরপর দেশটির অর্থনীতি, কূটনীতি, শাসনপদ্ধতি, পররাষ্ট্রনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসে। তবে সবচেয়ে বড় উদ্বেগ দেখা দেয় আফগান নারীদের নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দেশ ও সংস্থা নারীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। এরই মধ্যে দেশটিকে চাপে রাখতে বেশ কয়েকটি দেশ তহবিল সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে।
২০১৬ সাল থেকে আখুন্দজাদা তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচিত হলেও জনসম্মুখে তাকে খুব কমই দেখা গেছে।
৩০ অক্টোবর তালেবান ১০ মিনিটের একটি অডিও রেকর্ড প্রকাশ করে। তবে অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, অনেক আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর দেশটির অর্থনীতি, কূটনীতি, শাসনপদ্ধতি, পররাষ্ট্রনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসে। তবে সবচেয়ে বড় উদ্বেগ দেখা দেয় আফগান নারীদের নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দেশ ও সংস্থা নারীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আর সেসব উদ্বেগ যে অমূলক নয়, তার প্রমাণও মিলতে শুরু করেছে। শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে তালেবানের অন্তর্বর্তী সরকারের বেঁধে দেওয়া নানা নিয়মের বেড়াজালে আটকে পড়ছেন আফগান নারীরা।