মিয়ানমারের বিকল্প সরকারকে (এনইউজি) স্বীকৃতি দেওয়ার কথা জানিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট।বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এক আলোচনায় মিয়ানমারের সাম্প্রতিক মানবাধিকার পরিস্থিতিবিষয়ক এক প্রস্তাবে মিয়ানমারে চলমান সংকট নিরসনে এনইউজিকে সমর্থন জানান আসিয়ানসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহলকে।
এর আগে মঙ্গলবার এনইউজিকে স্বীকৃতি দিতে একটি প্রস্তাব পাস হয় ফ্রান্সের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে।
ফ্রান্সের সিনেটে গৃহীত প্রস্তাবে মিয়ানমারে সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি দেশটিতে শান্তি ও গণতন্ত্র পুনঃ প্রতিষ্ঠার স্বার্থে বিকল্প সরকারকে স্বীকৃতি দিতে ফ্রান্স সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকার উৎখাতের আট মাসের মাথায় দুটি পার্লামেন্টে দেশটির বিকল্প সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকেরা।
মিয়ানমারে জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের সামরিক সরকারকে এখন পর্যন্ত কেউ স্বীকৃতি দেয়নি। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সদ্য সমাপ্ত অধিবেশনে মিয়ানমারের আসনটি ফাঁকা ছিল।
মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে আগামী মাসে (নভেম্বর) জাতিসংঘে আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে মিয়ানমারের বিকল্প সরকারকে বিদ্যমান সংকট নিরসনে যুক্ত করার আহ্বান আন্তর্জাতিক পরিসরে এনইউজির স্বীকৃতির বিষয়টিকে জোরালো করে তুলছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকার উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। আটক করা হয় নির্বাচিত নেতা অং সান সু চিকে। পরে নির্বাচিত সরকারের প্রতিনিধিরা মিলে গঠন করে জাতীয় ঐক্যের সরকার (এনইউজি)।