আগেকার দিনে যে কোনও অনুষ্ঠান বাড়িতেই কলাপাতায় খাওয়ার প্রচলন ছিল। বিশেষ করে ছোট-বড় বিভিন্ন আয়োজনে কলা পাতায় খেতে বেশি দেখা যেত। অবশ্য এখন তা কমে গেছে। তবে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রায় সব রাজ্যেই এখনও কম বেশি কলা পাতায় খাবার খেতে দেখা যায়। বর্তমান সময়ে অনেক রেস্টুরেন্টে সাংস্কৃতিক উন্মাদনার জন্য কলাপাতা ব্যবহার করে। অর্থাৎ রেওয়াজটি পুরোপুরি হারিয়ে যায়নি। কলাপাতায় খাওয়াটা স্বাস্থ্যের জন্যেও ভালো। অন্তত স্বাস্থ্য সচেতনতার দৃষ্টিকোণে কলাপাতায় খাওয়াটা বেশ ভালো বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কলাপাতায় পলিফেনল নামের এক ধরনের পদার্থ থাকে। গ্রিন-টি-তেও এই একই পদার্থটি পাওয়া যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ভিতর থেকে শরীর এতটা শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। খাবার যখন কলাপাতায় পরিবেশন করা হয়, তখন খাবারের সঙ্গে এই পলিফেনল মিশে যায়। ওই খাবার খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
এ ছাড়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কলাপাতা ত্বক ও চুলের ক্ষেত্রে দারুণ উপকারী। এই পাতার আস্তরণ আপনার শরীরকে ক্ষতিকারক UV রশ্মি থেকে বাঁচায়। এর স্নিগ্ধতা আপনার দেহের প্রতিটি কোষকে আরাম দেয়। কলাপাতার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে; যা স্কিন ড্যামেজকে আটকে দেয়। বর্তমান জীবনের দৌড়ে বয়স যেন কমে আসছে। অকালেই ত্বকে ভাঁজ পড়ছে। তা আটকাতে সাহায্য করে কলাপাতার ফেসপ্যাক। এতে ক্ষত সারানোর ক্ষমতাও রয়েছে। অ্যাগজিমার মতো চর্মরোগও সারায় এই পাতা।
চুলের খুশকি সমস্যার সমাধানেও কলা পাতার জুড়ি মেলা ভার। এতে চুলের গোড়ার চুলকানি ভাবও কমে যায়। কলাপাতা শীতল। যে কারণে তা মাথায় ব্যবহার করলে আরাম পাওয়া যায়। পাশাপাশি মাথাও ঠান্ডা করে। এতে চিন্তা শক্তি বাড়ে। নতুন উদ্যমে কাজ করার অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়।
এ ছাড়া যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে, তারাও কলাপাতা ব্যবহার করে উপকার পেতে পারেন।