গরম থেকে আপনাকে যেভাবে ঠাণ্ডা রাখবে শসা

লাইফস্টাইল ডেস্ক

জুলাই ৬, ২০২৪, ১০:৪৫ এএম

গরমের দিনে প্রখর রোদে হাঁপিয়ে ওঠেন অনেক কর্মব্যস্ত নাগরিক। সারা দিন বাইরে থাকার পর ঘাম ঝরিয়ে ঘরে ফিরে আমরা অনেকেই হয়তো শরবত বা ঠাণ্ডা পানির খোঁজ করে থাকি। এগুলো আমাদের প্রশান্তি দেয়। তবে কাজের ফাঁকে কিংবা অফিসে যাওয়ার পথে আপনার জন্য উপকারী হয়ে উঠতে পারে শসা। কেন উপকারী হয়ে উঠতে পারে? চলুন জেনে আসি-

১. শসায় ক্যালরি কম ও আঁশযুক্ত উপাদান থাকায় ওজন কমাতে ও অন্ত্রের কোষ্ঠকাঠিন্যের অব্যর্থ মহৌষধ শসা।
২. শসায় ভিটামিন কে, সি, এ ও ক্লোরোফিল রয়েছে; যা মূত্রথলির পাথর বের করতে সহায়তা করে। শসার রস শক্তিশালী মূত্রবর্ধক হিসেবে পরিচিত।
৩. শসার ভিটামিন বি ও ইলেকট্রোলাইট গরমে মাথাব্যথার তীব্রতা কমায়। এর সিলিকন ডাই-অক্সাইড সংযোজক টিস্যুগুলো শক্তিশালী করে। এ ছাড়া ভিটামিন এ, বি১, বি৬, ডি, কে, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা কমিয়ে সন্ধির ব্যথা থেকে মুক্তি দেয় ও হাড় শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৪. শসার রস ডায়াবেটিক রোগীর জন্য সহায়ক।
৫. শসা পটাশিয়ামের ভালো উৎস, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। শসা ফ্ল্যাভোনয়েড–সমৃদ্ধ, যা প্রদাহ হ্রাস করতে সহায়তা করে।
৬. শসার বিটা ক্যারোটিন শরীরে ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।
৭. শসার ইরেপসিন নামের এনজাইম পেটের কৃমি মেরে ফেলতে পারে।
৮. শসায় থাকা লিগানন স্তন, জরায়ু ও প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। এর মধ্যে থাকা আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যেমন ল্যারিকিরসিনল, পিনোরসিনল, সেকোইসোলারিসাইরিনল সব ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে।
৯. শসার ফিসেটিন নামের ফ্ল্যাভোনয়েড আলঝেইমার রোগ বিলম্ব করতে সহায়তা করে।
১০. শসায় থাকা খনিজ মস্তিষ্কের সঠিক যোগাযোগের জন্য প্রয়োজনীয় নিউরোট্রান্সমিটার তৈরিতে সহায়তা করে।
১১. শসায় আছে সালফার, সিলিকন যৌগ; যা ত্বক ও চুলের বৃদ্ধির জন্য অনেক উপকারী।

Link copied!