ঘুমের সময়টা বাদে অধিকাংশ সময়ই কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনে কেটে যায়। যে কারণে চোখের প্রয়োজন অনুযায়ী বিশ্রাম হয় না। স্ক্রিনটাইমের মাঝে বিরতি রাখার কথা চক্ষু বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন। কিন্তু সে সময় বা সুযোগ পাওয়া যায় কই। জীবিকার প্রয়োজন ও ‘ডিজিটাল ডিপেন্ডেসি’ চোখের ওপর চাপ ক্রমাগত বাড়িয়ে দিচ্ছে। এ অবস্থায় সঠিক নিয়মে চোখের যত্ন না নিলে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন।
যত ব্যস্ততাই থাকুক না কেন একটানা দীর্ঘসময় মোবাইল বা কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে থাকবেন না। চোখকে কিছু সময়ের হন্য হলেও বিশ্রাম দিতে হবে। আধা ঘণ্টা কাজ করার পর দুই-তিন মিনিট স্ক্রিনের থেকে চোখ সরিয়ে রাখুন। চোখ বন্ধ রাখতে পারেন বা স্ক্রিন থেকে দূরে কোথাও তাকিয়ে থাকতে পারেন। বিরতি নিয়ে আবার কাজ করুন তাহলে চোখেও ক্লান্তিও কমে আসবে।
দীর্ঘসময় ধরে টানা মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করলে পানি পড়া বা চোখ লাল হয়ে আসা সমস্যা দেখা দিতে পারে যা ডাক্তারি পরিভাষায় ‘ড্রাই আই সিনড্রোম’ নামে পরিচিত। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কম্পিউটার বা মোবাইল ব্যবহার করার সময় বেশি বেশি চোখের পলক ফেলুন। এতে করে চোখের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
চোখের ক্ষতি যেন কম হয় সেজন্য বেশিরভাগ মোবাইল বা কম্পিউটারে এখন প্রটেক্টিভ স্ক্রিন লেয়ার থাকে। তবুও চেষ্টা করবেন মোবাইলের ব্রাইটনেস কমিয়ে কাজ করতে। চোখ সহ্য করতে পারে এখন মাত্রায় স্ক্রিনের ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখুন।
লক্ষ্য রাখবেন চশমার পাওয়ার চোখ অনুযায়ী ঠিক আছে কি না বা দেখতে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না। চোখের ওপর বেশি চাপ পড়লে মাথাব্যথাও হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে চক্ষুচিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।
চোখের চাপ কমাতে চোখ দুটোকে বিরতি দেয়ার পাশাপাশি পানির ঝাপটা দিতে পারেন। এছাড়াও ড্রাইনেসের সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে লুব্রিকেটিং আইড্রপ বা টিয়ারড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।
চেষ্টা করবেন কাত হয়ে বা শুয়ে মোবাইল বা ল্যাপটপ ব্যবহার না করতে কেন না এতে চোখের ওপর অনেক বেশি চাপ পড়ে।