আজ ২৯ সেপ্টেম্বর, বিশ্ব হার্ট দিবস। ‘হৃদয়ে দিয়ে হৃদযন্ত্রের যত্ন নিন’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ পালন করছে এই দিনটি। পৃথিবীব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হৃদরোগ। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে তরুণদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার উচ্চ প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য মতে, ট্রান্সফ্যাটজনিত হৃদরোগে মৃত্যুর সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। তাই দ্রুত ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা চূড়ান্ত করা না গেলে হৃদরোগ ঝুঁকি আশঙ্কাজনক হারে বাড়তেই থাকবে।
তবে আয়ুর্বেদ মতে ডায়েটও পারে হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে। তাই আয়ুর্বেদে বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিনের খাবারে গুরুত্বপূর্ণ কিছু জিনিস সংযোজন করতে বলেছেন। কী কী মানলে হৃদযন্ত্র ভাল থাকবে-তারও একটা তালিকা দিয়েছেন। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের লাইফস্টাইল বিষয়ক এক প্রতিবেদনে হৃদযন্ত্র ভাল রাখতে কতিপয় খাদ্যাভ্যাসের কথা বলা হয়েছে।
১. হলুদ খেতে হবে প্রতিদিন
আয়ুর্বেদ মতে হৃদযন্ত্র ভাল রাখতে প্রতিদিন হলুদ খাওয়া দরকার। হলুদে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে। এতে থাকা কারকিউমিন উপাদানটি হৃদ্যন্ত্রের ‘এন্ডোথেলিয়াল ফাংশন’-কে উন্নত করে। নিয়মিত হলুদ খেলে হৃদযন্ত্রের ধমনীগুলিও নমনীয় হয়।
২. সবুজ শাক-সব্জি খেতে হবে
প্রতিদিনের খাবারের মেনুতে সবুজ শাকসব্জি রাখুন। খেতে পারেন ঝিঙে, লাউ, পটল, চিচিঙ্গে, কুমড়ো ইত্যাদি সব্জি। এ ছাড়াও ডায়েটে রাখুন মুগডাল, মুসুর ডাল, টোফু, ভাত, বার্লি। এই খাবারগুলি ধমনী থেকে দূষিত পদার্থ বার করে দেয়। ‘আর্টারি ব্লক’ হওয়ার আশঙ্কাও কমিয়ে দেয়।
৩.খাবার অুনপাত ঠিক রাখুন
প্রতিদিন কী অনুপাতে খাবার খাচ্ছেন তা হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখার জন্য জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিনের ডায়েটে ৬০ শতাংশ শাক-সব্জি, ৩০ শতাংশ প্রোটিন ও ১০ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট থাকা উচিত।
৪.টক জাতীয় খাবার নয়
হৃদযন্ত্রের সুস্থতার জন্য ডায়েট থেকে টক জাতীয় খাবার বাদ দিতে বলেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞেরা। তাঁদেরপরামর্শ অনুযায়ী হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে গেলে টমেটো,কমলালেবু, আনারস, লেবু, আঙুর খাওয়া উচিত নয়।তাই এই সব ফল এড়িয়ে চলুন। রান্নার সময় ভিনিগার ব্যবহার করা থেকেও বিরত থাকুন।
৫. ময়দা খাওয়া চলবে না
ময়দার তৈরি লুচি বা পরোটা যতই খেতে ভাল লাগুক না কেন, হৃদযন্ত্র ভাল রাখতে গেলে ময়দা খাওয়া চলবে না। এমনকি পছন্দের রেড মিটকেও বাদ দিতে হবে ডায়েট থেকে।