ফোন করলেও মিনিটে ১০ টাকা ছিল, ধরলেও ১০ টাকা : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ২০, ২০২৩, ১০:৪৯ পিএম

ফোন করলেও মিনিটে ১০ টাকা ছিল, ধরলেও ১০ টাকা : প্রধানমন্ত্রী

ছবি: পিআইডি

বিএনপির সময় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কোনো কাজ হয়নি মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সুযোগ থাকার পরও সাবমেরিন ক্যাবলে বাংলাদেশকে সংযুক্ত করেননি খালেদা জিয়া। তার আমলে এত মোবাইল ফোনের ব্যবস্থা ছিল না। খালেদা জিয়ার এক মন্ত্রী মোরশেদ খানের অধীনে কেবল একটা কোম্পানি ছিল। এক ফোনের দাম ছিল ১৩০০০০ টাকা। ফোন করলে মিনিটে ১০ টাকা, ধরলেও ১০ টাকা। এই ছিল ফোনের অবস্থা।

রবিবার (২০ আগস্ট) নবনির্মিত ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ভবন’ ও ‘তথ্য কমিশন ভবন’ এবং ‘বিএফডিসি কমপ্লেক্স নির্মাণ’ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারই প্রথম ফোন সর্বজনীন করে। ১৭ কোটি মানুষের দেশে এখন মোবাইল সিম ১৮ কোটি। এখন তো আর কেউ একটা মোবাইল ব্যবহার করে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কারণে কোভিড মহামারিতেও সম্ভব হয়েছিল সবক্ষেত্রে কাজ চালিয়ে নেয়া। আমিই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, প্রতিটি পোস্ট অফিসকে ডিজিটাল সেন্টার করার।’

সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ নৌকার ভোট দিয়ে বারবার সেবা করার সুযোগ দিয়েছে বলেই কাজ করতে পেরেছি। ২০০৯ সাল থেকে দেশে ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক সরকার চলছে, স্থিতিশীলভাবে চলছে। যদিও এর মধ্যে প্রকৃতি-মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ, অগ্নিসন্ত্রাস অনেক কিছুই মোকাবিলা করতে হয়েছে। তারপরও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ডিজিটাল ব্যবস্থা ছিল না; এনালগ ছিল। আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর ডিজিটাল পদ্ধতির পদক্ষেপ নেয়া হয়। প্রতিটি ফাইল কম্পিউটারে তৈরি বাধ্য করেছিলাম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে সংবিধান লংঘন করে অবৈধভাবে মার্শাল ল জারি করে যারা সরকারে এসেছিল, তাদের মাথায় এসব ছিল না।’  

ক্ষমতাকে ভোগ করা আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অত্যাচার করা- এটাই তারা জানত। গণমানুষের কথা কখনোই তারা ভাবেনি। সেটা জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া- যেই হোক।

তিনি বলেন, ‘তথ্য চাওয়া-পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে। আওয়ামী লীগের কোনো রাখঢাক নেই, তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার চিন্তা নেই। জনগণকে জানিয়েই সব করে আওয়ামী লীগ।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার উদ্যোগে আমার পরামর্শেই হাতিরঝিলের পাশের রাস্তা হয়। এফডিসি গড়ে তোলার পেছনে আমার মায়ের অবদান আছে। পাকিস্তান আমলে সিনেমা দেখে রিকশায় করে বাবা-মা ফিরছিলেন। মা বলছিলেন, আমরা বাঙালিরা কি সিনেমা করতে পারি না? তখনই বঙ্গবন্ধু উদ্যোগ নেন এফডিসি করার। বিএনপির আমলে এমন সিনেমা হয়েছিল, যা পরিবার নিয়ে দেখা যেতো না। এখন মানুষ সিনেমা হলে ফিরছে। ’

Link copied!