সাহস থাকলে দেশে আসে না কেন, তারেককে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ২১, ২০২৩, ০৬:৪১ পিএম

সাহস থাকলে দেশে আসে না কেন, তারেককে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী

ছবি: বিটিভি

ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার মূলহোতা ও বিদেশে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাহস থাকলে দেশে আসে না কেন? ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে খালেদা, তারেক গ্যাং সরাসরি জড়িত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

২১ আগস্ট নারকীয় এ গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে ও নিহতদের স্মরণে সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি শুধু খুনের রাজনীতি জানে।‘২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে খালেদা, তারেক গ্যাং জড়িত। শুধু হত্যাকাণ্ড নয়, আলামতও ধ্বংস করা হয়।”

বিএনপি সরকারের আমলে দেশের বিভিন্ন স্থানে হওয়া বোমা-গ্রেনেড হামলার প্রসঙ্গ টেনে সরকারপ্রধান বলেন, “তিনি (খালেদা জিয়া) বলেছিলেন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা, বিরোধী দলীয় নেতাও হতে পারবেন না। ২০০১ সালে খালেদা জিয়া বলেছিলেন শেখ হাসিনা একশ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না।”

এসময় প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, “কী করে তিনি এ কথা বলেছিলেন? কারণ, তারা পরিকল্পনা করে আমাকে ও আমার দলের নেতাদের হত্যা করতে চেয়েছিল। হত্যার উদ্দেশে কোটালিপাড়ায় ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রেখেছিল। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছিল।”

শেখ হাসিনা বলেন, “বেঁচে গেছি আমি বার বার। কেন বেঁচে গেছি, সেটা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন জানেন- কেন বার বার তিনি মৃত্যুর হাত থেকে আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা বিরোধীদলীয় নেতাও হতে পারবেন না।’ এটা খালেদা জিয়া কীভাবে বলেছিলেন? এই হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল, আর ধারণা করেছিল, আমি মারা যাব। খালেদা জিয়া আরও বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ একশ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না।”

আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতৃমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও বক্তব্য রাখেন।

এর আগে, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২১ আগস্টের নিহতদের স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান সরকারপ্রধান। পরে গ্রেনেড হামলায় আহতদের সঙ্গেও তিনি কথা বলেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে  তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই নারকীয় হামলায় বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভানেত্রী বেগম আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হন। আহত হন দলটির পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও নিরাপত্তাকর্মী। আহতদের অনেকে এখনও শরীরে স্প্লিন্টার নিয়ে জীবনযাপন করছেন।

Link copied!