ভোটবিরোধী প্রচারণায় কড়া নজর রাখার নির্দেশ ইসির

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩, ০৪:১৯ পিএম

ভোটবিরোধী প্রচারণায় কড়া নজর রাখার নির্দেশ ইসির

সংগৃহীত ছবি

ভোটকেন্দ্রের চারপাশে নির্বাচনী প্রচারণার উদ্দেশ্যে পোস্টার, লিফলেট ইত্যাদি ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রের নির্ধারিত ৪০০ গজ এলাকার মধ্যে কোন প্রার্থী নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করতে পারবে না বলে পরিপত্র জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।

তবে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে চলমান রয়েছে বিএনপির লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি। একতরফা নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট এবং চাঁদনীচক মার্কেটে লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীমের নেতৃত্বে জনসাধারণের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়।

এসময় নিউমার্কেট থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন সরদার, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ রফিক হাওলাদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক এসএম মতিউর রহমান, থানা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আমির হোসেন, অ্যাডভোকেট রানা, মো. শাহাবুদ্দিন, ১৮ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক কাজী হাসু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম খোকন, কবির তপনদারসহ থানা বিএনপির, সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তবে শনিবার ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন থেকে জারিকৃত পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

শনিবার ইসি এক পরিপত্রে একাধিক নির্দেশনা জারি করেছে। সেগুলো হলো- নির্বাচনি প্রচারণার উদ্দেশ্যে পোস্টার, হ্যান্ডবিল বা উক্তরূপ কোন প্রকার প্রচারপত্র থাকলে তা ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পূর্বেই সরিয়ে ফেলতে হবে। ভোটকেন্দ্রগুলো যাতে অন্ধকার না থাকে সেই জন্য পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। কেউ যেন ভোটের জন্য ক্যানভাস না করতে পারেন বা কাউকে ভোটদানের জন্য উৎসাহিত বা নিরুৎসাহিত করতে না পারেন সেই দিকে কড়া নজর রাখতে হবে।

 একটি কক্ষে একাধিক ভোটকক্ষ না করা: ভোটকেন্দ্র হিসেবে স্থাপিত প্রতিষ্ঠানের একটি কক্ষের মধ্যে একাধিক ভোটকক্ষ স্থাপন করা কোনক্রমেই সমীচীন নয়। কারণ তাতে ভোটারদের নির্ধারিত ভোটকক্ষে ভোটদানে জটিলতার সৃষ্টি হয় এবং ফলস্বরূপ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। যদি কোন প্রতিষ্ঠানে ভোটকেন্দ্রের পরিসর এবং ফলস্বরূপ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের একাধিক ভোটকক্ষে স্থাপন করা হয় তা হলে প্রত্যেক ভোটকক্ষের অবস্থান বা এলাকা সুনির্দিষ্টভাবে চট বা চাটাই অথবা অন্য কোন বস্তু দিয়ে বেস্টনী তৈরি করতে হবে যাতে এক ভোটকক্ষ হতে অন্য ভোটকক্ষের মধ্যে যাতায়াত করা না যায় বা কথাবার্তার আদান প্রদান করা সম্ভব না হয়।

ভোটকন্দ্রে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা:  প্রতিটি ভোটকন্দ্রে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। ভোটগ্রহণের শেষ পর্যায়ে এবং ভোট গ্রহণের সময় আলোর স্বল্পতা দেখা দিতে পারে। প্রতিবিধান স্বরূপ ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে।

সুশৃংখলভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থাকরণ: ভোটগ্রহণের দিন অপরাহ্নের দিকে বেশী সংখ্যক ভোটার ভোটদানের জন্য জমায়েত হতে পারেন। শেষ মুহূর্তে যাতে এরূপ ভোটারগণ সুশৃংখলভাবে ভোট দিতে পারেন, তার জন্য কর্মরত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সাথে আলোচনাক্রমে ব্যবস্থা করতে হবে।

ভোটগ্রহণ শুরু: ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠান নির্ধারিত সময়ে অর্থাৎ সকাল ৮-০০ টায় শুরু করতে হবে। কোন ক্রমেই বিলম্বে ভোটগ্রহণ শুরু করা যাবে না।

ভোটারদের বহনের জন্য প্রার্থীর যানবাহন ব্যবহার না করা: প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, তাদের নির্বাচনি এজেন্ট, পোলিং এজেন্ট এবং সমর্থকগণ যাতে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনয়নের জন্য কোন প্রকার যানবাহন ব্যবহার করতে না পারেন অথবা আচরণ বিধিমালা অনুসরণ করেন সে বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের করণীয় ও বর্জনীয় দিকগুলো উল্লেখ করে সতর্ক করে দিতে হবে। অন্যথায় আচরণ বিধিমালা ভংগের দায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

Link copied!