চাকরির বিজ্ঞপ্তি দিয়েই তারা হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই ১৫, ২০২২, ০১:০০ এএম

চাকরির বিজ্ঞপ্তি দিয়েই তারা হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা

চাকরির ভুয়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রতারণা, চাকরি প্রত্যাশীদের আবেদন বাবদ ১৯ লাখ টাকা আত্মসাৎকারী প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ(ডিএমপি)।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে  ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির গোয়েন্দা প্রধান হিসেবে সদ্য পদোন্নতি পাওয়া অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ডিএমপির গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের মিরপুর জোনাল টিম আজ ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এই প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মো. আজিজুল হাসান ওরফে এমরান (৫১), বিউটি আক্তার (৩৫) ও কবির উদ্দিন পিয়াস (৩০)। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ১৯ লাখ টাকা ও ভুয়া চাকরির নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থা ফেয়ারফ্যাক্সের অর্থায়নে ‘ফেয়ারফ্যাক্স বাংলাদেশ প্রকল্প’ নাম দিয়ে ৬ হাজার ৪৭২টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গত ১৫ জুন প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত।

একই তারিখে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ ট্রাস্ট (বি.পি.কে.টি) নামে নিজস্ব ওয়েবসাইটে (www.bpktp.org) ১ হাজার ৯৪৪টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে ট্রাস্টটির একটি ভুয়া নিবন্ধন নম্বরও ব্যবহার করা হয়। ১৫০ ও ৫০০ টাকা করে মোট ১৯ লাখ টাকা সোনালী ব্যাংকে জমার পর তা উত্তোলন করে আত্মগোপনে যায় প্রতারক চক্র।

প্রতারণার অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে মিরপুর ডিবি পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ ট্রাস্ট বা ফেয়ারফ্যাক্স বাংলাদেশ প্রকল্প নামে কোনো প্রতিষ্ঠান মিরপুরের ওই ঠিকানায় নেই।

ডিএমপির ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, “সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র মিরপুর এলাকায় ‘ফেয়ারফ্যাক্স বাংলাদেশ প্রকল্প’ এবং ‘বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ ট্রাষ্ট’ নামক দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খুলে পত্রিকা ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। তারা সাধারণ জনগণের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগ বিষয়টি জানতে পেরে তদন্ত শুরু করে।”

Link copied!