জ্বালানি তেলের দাম বাধ‌্য হয়েই বাড়িয়েছে সরকার: জ্বালানিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ৬, ২০২২, ০৫:৩৭ পিএম

জ্বালানি তেলের দাম বাধ‌্য হয়েই বাড়িয়েছে সরকার: জ্বালানিমন্ত্রী

বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাধ‌্য হয়েই বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। শনিবার সকালে গণমাধ‌্যমকে তিনি এসব কথা বলেন।

জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে (বিপিসি) ব‌্যাপক লোকসানের হাত থেকে বাঁচাতেই জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে।”

তিনি বলেন, “বৈশ্বিক বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্ববাজারে জ্বালানির মূল্য বেড়ে যাওয়ায় সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার বাধ্য হয়েই জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে। তবে চিন্তার কারণ নেই, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলে বাংলাদেশেও কমানো হবে।”

প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার হঠাৎ করেই জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। ডিজেলের দাম লিটারে ৩৪ টাকা, অকটেনের দাম লিটারে ৪৬ টাকা আর পেট্রলের দাম লিটারে ৪৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এখন এক লিটার ডিজেল কিনতে ১১৪ টাকা লাগবে। এক লিটার অকটেনের জন্য গুনতে হবে ১৩৫ টাকা। আর প্রতি লিটার পেট্রলের দাম হবে ১৩০ টাকা।   

শুক্রবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জ্বালানি তেলের নতুন এই দর জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, আজ (শুক্রবার) রাত ১২টার পর থেকে নতুন এই দর কার্যকর হবে।এর আগে গত বছরের নভেম্বরে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। সে সময় ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানো হয়। তাতে দাম হয়েছিল ৮০ টাকা লিটার। তার আগে এই দুই জ্বালানি তেলের দাম ছিল লিটারে ৬৫ টাকা।

দাম বাড়ার কারণ ব্যাখ্যায় জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) বিগত ছয় মাসে (ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত) জ্বালানি তেল বিক্রিতে ৮ হাজার ১৪ কোটি টাকার বেশি লোকসান দিয়েছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক তেলের বাজার পরিস্থিতির কারণে বিপিসির আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে যৌক্তিক মূল্য সমন্বয় অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে অনুযায়ী জ্বালানি তেলের মূল্য পুনর্বিবেচনা করা হবে।

Link copied!