টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার রাজা মিয়ার পাঁচ দিনের রিমান্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ৫, ২০২২, ০২:৩৬ এএম

টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার রাজা মিয়ার পাঁচ দিনের রিমান্ড

টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে চাঞ্চল্যকর ডাকাতি ও গণ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার রাজা মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাদল কুমার চন্দ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালত পরিদর্শক তানভীর আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাজা মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে হাজির করে সাত রিমান্ড আবেদন করেন। বিচারক শুনানি শেষে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

বৃহস্পতিবার ভোরে রাজা মিয়াকে শহরের দেওলা এলাকার বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। রাজা মিয়ার কাছ থেকে দুইটি ছুরি, একটি কাঁচি এবং যাত্রীদের কাছ থেকে ডাকাতি হওয়া তিনটি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুরাদ হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজা মিয়া ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বাীকার করেছেন। ঈগল পরিবহনের চালককের কাছ থেকে বাসের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর রাজা মিয়া পুরো ডাকাতির সময় গাড়ি চালিয়েছে।

এ দিকে সন্ধ্যায় ধর্ষণের শিকার নারী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুমি খাতুন তার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন।

জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাঁকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাদল কুমার চন্দের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়া থেকে ঈগল পরিবহনের যাত্রীবাহী ওই বাস ২৪-২৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার দিকে রওনা দেয়। গভীর রাতে সিরাজগঞ্জের কড্ডায় পৌঁছালে সেখান থেকে একদল ডাকাত যাত্রীবেশে ওই বাসে উঠে পড়ে। বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর ডাকাতদল বাসটি কব্জায় নেয়। এরপর বাসে থাকা সব যাত্রীর হাত, পা ও চোখ বেঁধে মারধর ও লুটপাট করা হয়। এ সময় বাসের ভেতরেই এক নারী যাত্রীকে ডাকাতদল ধর্ষণ করে। বুধবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে বাসটি বালুর স্তূপে কাত করে ফেলে পালিয়ে যায়।

Link copied!