ত্রিপক্ষীয় চুক্তি চায় ইভ্যালি

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ১৩, ২০২১, ১১:১৩ পিএম

ত্রিপক্ষীয় চুক্তি চায় ইভ্যালি

ইকমার্স প্রতিষ্ঠান, পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক বা মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান—এ তিন পক্ষের মধ্যে যাতে চুক্তি হতে পারে, সে জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন চেয়েছে ইভ্যালি।

বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) ইভ্যালি বাংলাদেশ ব্যাংকে এ বিষয়ে একটি আবেদনে জানিয়েছে,‘ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হলে সব ধরনের অনাস্থার জায়গাটি সমাধান করা সম্ভব। এই চুক্তির ফলে পণ্য সরবরাহকারীরা গেটওয়ে থেকে টাকা পাওয়ার নিশ্চয়তা পেলে পণ্য সরবরাহ করতে আগ্রহী হবে। এই চুক্তি প্রক্রিয়া অনুমোদন করা হলে গ্রাহকেরাও ইকমার্সে অনেক বেশি আগ্রহী হবেন।’

ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসে এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ইকমার্স ব্যবসায়ের সম্প্রসারণের স্বার্থে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছি। আর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠির জবাব আমরা যথাসময়ে দেব।

এদিকে গতকাল সম্পদ ও দায়ের বিবরণী ১৯ আগস্টের মধ্যে গ্রাহকের কাছে, দেনার পরিমাণ ২৬ আগস্টের মধ্যে এবং মার্চেন্টদের কাছে দেনার পরিমাণ ২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জানাতে ইভ্যালিকে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

এসব তথ্য জানাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এর আগে গত ১৯ জুলাই কোম্পানিটিকে চিঠি দিয়েছিল। একই সঙ্গে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছিল ওই দিন। জবাবে ছয় মাস সময় চেয়ে ২ আগস্ট বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করে ইভ্যালি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত বুধবার আন্তমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়ে ছয় মাস সময়ের আবেদন নাকচ করে দেয় এবং নতুন সময়সীমা নির্ধারণ করে। সেটাই চিঠি আকারে ইভ্যালিকে দেওয়া হয় গতকাল।

ইভ্যালিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছিল, গত ১৪ মার্চ পর্যন্ত গ্রাহক ও মার্চেন্টদের নিকট মোট ৪০৭ কোটি টাকা দায়ের বিপরীতে ইভ্যালির কাছে মাত্র ৬৫ কোটি টাকা চলতি সম্পদ কেন? বাকি টাকা ইভ্যালির কাছে থাকলে বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে, না থাকলে পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা দিতে হবে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কাছে ইভ্যালির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ৬ হাজার ৭৪৭টি। নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে ২ হাজার ৬০২টি অভিযোগ।

যোগাযোগ করলে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল গতকাল বলেন, ‘ইকমার্স ব্যবসায়ের সম্প্রসারণের স্বার্থে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছি। আর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠির জবাব আমরা যথাসময়ে দেব।’ইভ্যালিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছিল, গত ১৪ মার্চ পর্যন্ত গ্রাহক ও মার্চেন্টদের নিকট মোট ৪০৭ কোটি টাকা দায়ের বিপরীতে ইভ্যালির কাছে মাত্র ৬৫ কোটি টাকা চলতি সম্পদ কেন? বাকি টাকা ইভ্যালির কাছে থাকলে বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে, না থাকলে পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা দিতে হবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান গতকাল বলেন, ‘যে সময়ের মধ্যে যে তথ্য দেওয়া সম্ভব, সেই সময়ই ইভ্যালিকে দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি কোম্পানিটি যথাসময়ে তথ্য দেবে।’

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কাছে ইভ্যালির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ৬ হাজার ৭৪৭টি। নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে ২ হাজার ৬০২টি অভিযোগ।
যোগাযোগ করলে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল গতকাল বলেন, ‘ইকমার্স ব্যবসায়ের সম্প্রসারণের স্বার্থে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছি। আর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠির জবাব আমরা যথাসময়ে দেব।’

Link copied!