দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে আর ফিরতে চান না সেই ফুলপরী

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ৪, ২০২৩, ০৩:০০ এএম

দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে আর ফিরতে চান না সেই ফুলপরী

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে নির্যাতনের শিকার প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুন আর ওই হলে ফিরতে চাচ্ছেন না। নির্যাতনের স্মৃতি ভুলে নতুন করে আবার পুরোদমে লেখাপড়া শুরু করতে তিনি। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলে সিটের আবেদন করতে চান তিনি।

আজ শুক্রবার ঢাকার একটি দৈনিকের সাথে টেলিফোনে আলাপকালে ফুলপরী এসব কথা জানান।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলে সিট পেতে আবেদন করতে এবং মাইগ্রেশনের কাজ করতে কাল শনিবার তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাবেন বলেও জানিয়েছেন।

ফুলপরী বলেন, 'ওই হলে নির্যাতনের দুঃসহ স্মৃতি সবসময় আমাকে তাড়িয়ে বেড়াবে, যখন ওই রুমের সামনে যাব, যখন ওই ডাইনিংয়ের সামনে যাব। নির্যাতনের দুঃসহ স্মৃতি ভুলে আমি নতুন উদ্যমে লেখাপড়া করতে চাই। এজন্য আর ওই হলে ফিরতে চাই না।’

ফুলপরী বলেন, ইতিমধ্যে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টার সাথে তিনি আলাপও করেছেন। 'স্যার ও ম্যাডাম আমাকে আমার পছন্দ অনুযায়ী সিট বরাদ্দের বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন,' যোগ করেন তিনি। 

ফুলপরী আরও বলেন, 'আমি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলে সিট বরাদ্দের জন্য আবেদন জানিয়ে সিট মাইগ্রেশনের কাজ করতে শনিবার আবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যম্পাসে যাব। সিট বরাদ্দ পাওয়ার পর দ্রুতই আমি ক্যম্পাসে ফিরতে চাই। আবার শুরু করতে চাই নতুন করে।'

গত ১২ ফেব্রুয়ারি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা, তাবাসুমসহ আরও কয়েকজন ফুলপরীকে আটকে রেখে নির্যাতন চালায়। 

এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার শিবপুর গ্রামে বাড়িতে ফিরে যান ফুলপরী। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির কাছে বিবৃতি দিতে কয়েকবার বিশ্ববিদ্যালয়ে গেছেন তিনি।

ঘটনাটি নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনা শুরু হলে হাইকোর্টের আদেশের পর ইবি কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে অভিযুক্ত সানজিদাসহ ৫ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করে এবং হল প্রভোস্টকে অব্যাহতি দেয়।

আদালতে আদেশ অনুযায়ী ফুলপরীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারকে একটি চিঠিও দেয় ইবি কর্তৃপক্ষ। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাহাদাত হোসেন আযাদ এ বিষয়ে বলেন, 'ইতিমধ্যে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নতুন হলে সিট বরাদ্দের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি ফুলপরীর সাথে কথা বলবেন এবং তার পছন্দমতো ছাত্রাবাসের প্রভোস্টের সাথে কথা বলে সিটের বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।'

Link copied!