নাসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ১৬, ২০২২, ০২:৪৫ পিএম

নাসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন(নাসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ। শুরু হয়েছে।  রবিবার সকাল ৮টায় শুরু হওয়া এই ভোটগ্রহণ একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। নাসিক নির্বাচনে এবারই প্রথম সবগুলো কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম-এ ভোট নেওয়া হচ্ছে।

শীত উপেক্ষা করে শহরের কেন্দ্রে কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছেন ভোটাররা। সকাল সাড়ে ৮টায় ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে মাজদাইর আদর্শ স্কুলে ভোট দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার।

এবারের নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন, সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ৩৪ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৪৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরশেনের সদর, সিদ্ধিরগঞ্জ ও কদমরসূল অঞ্চলের ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৭ জন। ভোটকে কেন্দ্র করে শহরের নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

নাসিক নির্বাচন  পরিচালনায় রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার। এছাড়া সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ ৯ জন।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়,  নির্বাচনে ১৯২টি ভোটকেন্দ্রের ভেতর ও বাইরে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাঁচ হাজারেরও বেশি সদস্য নিয়োজিত রয়েছে। নির্বাচনে ৩৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন বলে ওই সূত্র নিশ্চিত করেছে।

স্থানীয়রা বলছেন, নগরের মেয়র যেই হোক না কেন, তারা নগরের উন্নয়ন এবং জনগণের পাশে থাকার যে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন সেটি রাখবেন। বরাবরের মতো নগর অভিভাবকের কাছে বাড়তি প্রত্যাশা থাকবে নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দাদের।

এবার জিতলে সিটি মেয়র হিসেবে হ্যাটট্রিক করবেন দলীয় প্রতীকে আওয়ামী লীগের নৌকা নিয়ে নির্বাচন করা আইভী। ২০১১ সালে শামীম ওসমানকে এক লাখেরও বেশি ভোটে হারিয়ে দেশের প্রথম নারী মেয়র হয়েছিলেন তিনি। 

নির্বাচনে আরেক হেভিওয়েট প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। এবার প্রথমবারের মতো নারায়ণগঞ্জের মেয়র হওয়ার আশায় দলীয় নির্দেশ অমান্য করেই হাতি প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে নেমেছেন। এর আগে ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। পরে দলের নির্দেশে ভোট থেকে সরে দাঁড়ান। ওইসময় নির্বাচনে নেমে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ হারান তৈমুর।

মেয়র পদে এ দুইজন ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরও পাঁচজন। মেয়র পদে অন্যরা হলেন— খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস, কামরুল ইসলাম স্বতন্ত্র।

সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ৩৪ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটাররা দুইবারের মেয়রকে আবারও চান নাকি নতুন কোনো নগরপিতা বেছে নেবেন-তা রবিবার রাতেই জানা যাবে।

Link copied!