নৌকা ও আনরস সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৯

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ২৯, ২০২২, ০৬:৩৪ পিএম

নৌকা ও আনরস সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৯

চুয়াডাঙ্গার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী  শুকুর আলী এবং স্বতন্ত্র হিসেবে আনারস প্রতীকে নির্বাচন করা মিজানুর রহমান টিপুর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়েছে।

শুক্রবার রাতে এ সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের ৯ জন আহত হয়েছেন। দেশীয় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত কয়েকজনকে জেলা  সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার রেশ ধরে অগ্নিসংযোগ চালানো হয়েছে নির্বাচন অফিসে। ভাঙচুর করা হয়েছে মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসে।

আনারস প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান টিপু গণমাধ্যমে বলেন, পাশ্ববর্তী এলাকার লোকজন প্রায় দিনই নৌকার পক্ষ নিয়ে তিতুদহ ইউপির নির্বাচনি এলাকায় এসে আমার কর্মীদের হুমকি ধামকি দেয়। শুক্রবার রাতেও ওই বহিরাগত লোকজন উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে আমার গিরিশনগর ও তিতুদহ দক্ষিণপাড়ার দুটি নির্বাচনি অফিসে ভাঙচুর চালায়। এসময় আমার কর্মী তছলিম উদ্দীনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। ভাঙচুর করা হয় মাহবুব রিপনের মোটরসাইকেল। জখম করা হয় রিপনকেও। এছাড়া ওই হামলায় আহত হয় মিঠু ও আব্দুল লতিফ।

তবে  নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শুকুর আলী ওই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমরা নির্বাচনি এলাকায় ভোটারদের কাছে ভোট চাচ্ছিলাম। আমাদের বহরের পেছনে এসে আনারস প্রতীকের লোকজন নানা ধরনের হুমকি ধামকি দিতে থাকে। এসময় তারা আমাদের মাইক্রোবাসে হামলা চালায়। তিতুদহ বাজার ও গিরিশনগরের ৩টি নির্বাচনী অফিসে চালায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। পুড়িয়ে দেয় নৌকা প্রতীক। কর্মীদের উপর চালায় হামলা। যে হামলায় আমার পক্ষের হাসান, মানিক, ওমর ফারুক, শাহিন ও রায়হান গুরুতর আহত হয়।

আহতদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আহসানুল হক।

এদিকে, দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুল কবীর জানান, দু পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ ঘটনায় এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

Link copied!