টেকসই চামড়াশিল্প গড়ার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় সংলাপের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
মঙ্গলবার (১৪ মে) রাজধানীর তেজগাঁও চ্যানেল আই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানানো হয়। সলিডার সুইসের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ অক্যুপেশনাল সেইফটি হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ফাউন্ডেশন এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে ‘বিল্ডিং এ সাসটেইনেবল লেদার সেক্টর ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ৩ বছর মেয়াদী এই প্রকল্পের এরই মধ্যে ১ বছর পূর্ণ হয়েছে। এ সময় প্রকল্পটির অগ্রগতিসহ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সংক্ষেপে উপস্থাপন করেন বক্তারা।
জাতীয় সংলাপের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডেলিগেশন অব ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ম্যানেজার (প্রাইভেট সেক্টর, গ্রিন এনার্জি ট্রানজেশন অ্যান্ড সোশ্যাল প্রটেকশন) ইশরাত শবনম, সলিডার সুইসের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ মোহাম্মদ আমানউল্লাহ, বাংলাদেশ অক্যুপেশনাল সেইফটি হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন সাকি রেজওয়ানা এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু। পরবর্তীতে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তারা।
বক্তারা জানান, বৃহস্পতিবারের ‘ন্যাশনাল হাইলেভেল ডায়ালগ ফর গ্রিনিং দ্য ট্যানারি অ্যান্ড লেদার সেক্টর ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সংলাপ চামড়া খাতের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠবে। সাভারে চামড়া শিল্প নগরীতে অতিরিক্ত বর্জ্য উৎপাদনজনিত পরিবেশ দূষণ নিরসনের উপায়, চ্যালেঞ্জ ও কর্মকৌশল নিয়ে আলোচনা করা হবে।
ট্যানারি মালিকদের মধ্যে পরিবেশগত মান বজায় রাখতে সচেতনতা সৃষ্টি হলে বাংলাদেশের চামড়া খাত বিশ্ব বাজারে আরও বড় পরিসরে জায়গা করে নিতে পারে। এতে আরও অধিক শক্তিশালী, পরিচ্ছন্ন ও মানসম্পন্ন চামড়া খাত গঠনের পথ ত্বরান্বিত হবে বলে দাবি করেন বক্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় ১৬ মে সংলাপে ঈদ-উল-আজহার সময় চামড়া শিল্প নগরীতে ধারণক্ষমতার চেয়ে মাত্রাতিরিক্ত বর্জ্য শোধনের উপায় নিরূপণ ও কর্মকৌশল প্রণয়নের বিষয় নিয়েও আলোচনা হবে।
জাতীয় সংলাপে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি, ট্যানারি মালিক, শ্রমিকনেতা, শিক্ষাবিদ, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিত থাকার কথা আছে।