ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বাংলাদেশকে টিকা সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন। বুধবার (১৬ জুন) বিএসএ আয়োজিত এক ভার্চ্যুয়াল সভায় তিনি ওই আশ্বাস দেন।
এসময় রাষ্ট্রদূত বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে করোনা প্রতিরোধে চীনের এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। শুধু করোনা প্রতিরোধ নয়, যেকোনো প্রয়োজনে চীন সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
তিনি জানান, করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দুই দফায় ১১ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে। গত ১৩ জুন সর্বশেষ ছয় লাখ টিকা ঢাকায় এসে পৌঁছেছে।
রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, করোনা প্রতিরোধে সুরক্ষা সরঞ্জামসহ বাংলাদেশকে নানা ধরনের চিকিৎসা সহযোগিতা করেছে চীন। তার দেশ বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী। ভবিষ্যতেও সব ধরনের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, চীন ও বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তায় ইউয়ান লংপিংয়ের অবদান অবিস্মরণীয়। ১৯৫০ সালে চীনে মাত্র ৭ মিলিয়ন টন চাল উৎপাদন হতো। হাইব্রিড জাত উদ্ভাবনের পর পাঁচ দশকের ব্যবধানে সেটি পাঁচ গুণ বেড়েছে। চীনের অর্ধেকের বেশি জমিতে এখন হাইব্রিড ধানের আবাদ হচ্ছে। মোট চাল উৎপাদনের প্রায় ৬০ শতাংশই হাইব্রিড। চীনে এখন ৮০ লাখ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ধানের আবাদ হচ্ছে। বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র বিমোচনে তার অবদান অবিস্মরণীয়।
হাইব্রিড ধানের জনক অধ্যাপক ইউয়ান লংপিং স্মরণে বাংলাদেশ সিড অ্যাসোসিয়েশন (বিএসএ) আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সিড অ্যাসোসিয়েশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
হাইব্রিড জাতের ধানের উদ্ভাবক হিসেবে সারা বিশ্বে স্বীকৃতি পাওয়া এই বিজ্ঞানী দারিদ্র বিমোচনসহ আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। গত ২২ মে চীনের হুনান প্রদেশের একটি হাসপাতালে ৯১ বছর বয়সে তিনি মারা যান। তার স্মরণে এ সভার আয়োজন করা হয়।