মির্জা ফখরুলকেও ছাড়লেন না হিরো আলম

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩, ০৬:১০ পিএম

মির্জা ফখরুলকেও ছাড়লেন না হিরো আলম

বারবার নির্বাচনে অংশ নিয়ে হেরেও টক অব দ্য কান্ট্রি এখন হিরো আলম। গত ১ ফেব্রুয়ারি হয়ে যাওয়া উপনির্বাচনে বগুড়ার দুই আসন থেকে নির্বাচন করেন তিনি। একটি আসনে তাঁর অল্প ভোটের ব্যবধানে হার দেখে সবার মধ্যে আলোচনা ঝড় ওঠে।

তাঁকে নিয়ে দেশের প্রধান দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে দেখা যায় বাক্যব্যয়। সেসব নিয়ে হিরো আলমও সমালোচনা করেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে নির্বাচনে মুখোমুখি হতে বলেন এই আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর। 

এবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুললেন তিনি।

হিরো আলম বলেন, শুধু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কা+দের স্যার আমাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেননি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল স্যারও আমাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছেন। আমাকে মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করেনি।কোনো রাজনীতিবিদ কাউকে ছোট করে কথা বলতে পারে না। তারা এলিট শ্রেণির লোকদের সম্মান করে, কিন্তু নিম্নশ্রেণির লোকদের সম্মান করে না; কিন্তু তারা নিম্নশ্রেণির মানুষদের সমর্থন নিয়েই তো নেতা হয়েছে। এটি ভুলে গেছেন।

মির্জা ফখরুলের সমালোচনা করে হিরো আলম বলেন, ফখরুল স্যার বলেছেন— তারা (আওয়ামী লীগ) হিরো আলমের কাছেও হেরে যায়। তারা মানে কি বুঝায়, হিরো আলম একটা তুচ্ছ লোক। তিনি কিন্তু কিঞ্চিত পরিমাণও মূল্যায়ন করলেন না আমাকে। মানুষও মনে করলেন না। তাদের ধারণা, আমি সংসদে গেলে সংসদের অবমাননা হবে।

আমি বলতে পারি— বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ দুদলই আমাকে তুচ্ছ বলে মনে করেছে। আমাকে মানুষই মনে করেনি।

প্রসঙ্গত, গত ৪ ফেব্রুয়ারি এক জনসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের হিরো আলমকে নিয়ে বলেন, হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গেছেন। হিরো আলমকে বিএনপি দাঁড় করিয়েছে। জাতীয় সংসদকে ছোট করার জন্য বিএনপি হিরো আলমকে প্রার্থী করেছে।

এর কড়া জবাব দেন হিরো আলম। ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে হিরো আলম বলেন, হিরোকে কেউ কোনো দিন জিরো বানাতে পারে না। হিরো হিরোই থাকে। কারণ আমাকে জিরো কেউ বানাতে পারেনি, পারবেও না। হিরোকে যারা জিরো বানাতে এসেছে তারাই জিরো হয়েছে। এবং নির্বাচনের মাঠে খেলার ঘোষণা দেন হিরো আলম।

হিরো আলম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, আমি হিরো আলম চ্যালেঞ্জ করছি সুষ্ঠু নির্বাচন দেন। প্রতি সেন্টারে সিসি ক্যামেরা দেন। বুথে সিসি ক্যামেরা দেন। ইভিএম দেবেন না। কারণ ইভিএম হলো চোর। বাইরের দেশে ইভিএম ডাস্টবিনে ফেলে দিচ্ছে। সেটি আমাদের দেশ কুড়িয়ে নিয়ে এসে ভোট করছে। এখানেও কারচুপি হয়। ইভিএমে একটায় টিপ মারলে যায় আরেকটায়।

তিনি বলেন, আমি হিরো আলম কোনো দলের সাথে জড়িত না। না বিএনপি, না আওয়ামী লীগ, না অন্য কোনো দল। তাই আপনারা আমাকে নিয়ে কোনো মাখামাখি করবেন না। আপনারা একজন আরেকজনকে দোষ দেবেন না আমাকে নিয়ে।

Link copied!