আগামীতে সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান।
রোববার (৫ মে) রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপি হেডকোয়ার্টারের মিডিয়া সেন্টারে ‘অননুমোদিত ও অবৈধ স্টিকারযুক্ত যানবাহনের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অভিযানের বিষয়ে’ সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।
মেহেদি হাসান বলেন, “এরই মধ্যে গুলশান-২ চত্বরে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ট্রাফিং কন্ট্রোল করা হচ্ছে। যা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন আমরা পরিচালনা করছি। এভাবে গুলশানের মতো ঢাকা শহরের অন্য জায়গায় এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ কীভাবে শুরু করা যায় তা নিয়ে পরিকল্পনা করছি। সামনে হয়তো এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করেই ঢাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হবে।”
ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটি আমাদের দাপ্তরিক কাজেরই অংশ। এরপরও ইদানিং আমরা এ বিষয়ে জোর দিয়ে কাজ করছি। অননুমোদিত স্টিকার সম্বলিত, ফিটনেসবিহীন ও অবৈধ ৩ হাজার ১৭৪টি যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। ঈদুল ফিতরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ডিএমপির আটটি ট্রাফিক বিভাগ ৩৬৩টি অননুমোদিত স্টিকার, ৪৬১টি ফিটনেসবিহীন ও ২ হাজার ৩৫০ অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি মেয়াদ নেই এমন দুই হাজারের বেশি যানবাহন ডাম্পিং করেছি।”
অবৈধ ও অননুমোদিত স্টিকার বিষয়ে মেহেদি হাসান বলেন, “ঢাকার রাস্তায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সরকারি অফিস, পুলিশ ও সাংবাদিকদের প্রতিষ্ঠানের নামে এসব অননুমোদিত ও অবৈধ স্টিকারযুক্ত যানবাহন দেখা যাচ্ছে। এমনকি পুলিশের আত্মীয়-স্বজনরাই পুলিশের স্টিকার ব্যবহার করছেন। এসব অননুমোদিত ও অবৈধ স্টিকারযুক্ত যানবাহনের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) আইনি ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগ নিয়েছে। এই লক্ষ্যে ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে অভিযান পরিচালনা করা হবে।”
এ পর্যন্ত ৩৬০টি অবৈধ ও অননুমোদিত স্টিকারযুক্ত যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, অবৈধ ও অননুমোদিত স্টিকার ব্যবহার বন্ধ করুন। না হলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।