রাজধানীতে ফাঁস লাগানো ৩ লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিসেম্বর ১৯, ২০২১, ০৯:১৯ পিএম

রাজধানীতে ফাঁস লাগানো ৩ লাশ উদ্ধার

রাজধানীতে পৃথক গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন, শান্তিনগরের সা‌দিয়া (১৬), মান্ডার বিদ্যুৎ (১৮) ও রামপুরার রিন‌ভী আক্তার (২৩)।

সাদিয়ার বাড়ি ফরিদপুর জেলায়। তার বাবার নাম সাইদুল ইসলাম। বেশ কয়েক মাস ধরে সাদিয়া শান্তিনগরের পীর সাহেব গলির ১২৫ নম্বর বাড়ির চতুর্থ তলার বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতো। গতকাল রাতে সে বাসায় একাই ছিল।

গৃহকর্তা পরিবারসহ নারায়ণগঞ্জের একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তারা বাসায় ফিরে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে বাসার সিকিউরিটি গার্ডকে সঙ্গে নিয়ে তালা-চাবি মিস্ত্রী এনে কক্ষের দরজা খুলেন। এসময় কক্ষের ভেতর ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় সাদিয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে থানায় খবর দিলে ওই বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়।

পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্তের পর ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই মৃত্যুর আসল কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এদিকে, মুগদার উত্তর মান্ডা খালপাড় এলাকায় ৩৫/১ বাড়ির নিচ তলায় দাদা-দাদির সাথে থাকতো বিদ্যুৎ। তার বাবা মৃত কামাল হোসেন। বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জে।

বিদ্যুতের চাচা আবুল কালাম জানান, বিদ্যুৎ রাজমিস্ত্রীর হেলপার হিসেবে কাজ করতো। কিছুটা মাদকাসক্ত ছিলো সে। গতরাতে খাবার খেয়ে সে বাসা থেকে দ্রুত বের হয়ে যায়। এতে বিদ্যুতের ছোট চাচার সন্দেহ হলে কিছুক্ষণ পর তাকে খুঁজতে বের হন। রাত ১১টার দিকে বাড়িটির পঞ্চম তলার ছাদে পানির পাইপের সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান তাকে। পরে পুলিশে খবর দিলে তারা মরদেহ উদ্ধার করে।

অপরদিকে, রিন‌ভী আক্তারের মামা শহিদুল ইসলাম জানান, রিনভীর স্বামী রা‌সেল যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। মা-বাবার সাথে রামপুরার তালতলা বি ব্লকের একটি বাসায় থাকতো সে। গতরাত ১১টার দিকে মায়ের সাথে ঝগড়া করে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পে‌চি‌য়ে গলায় ফাঁস দেয়। বিষয়টি দেখতে পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা ক‌রেন।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, রামপুরার রিনভীর মরদেহ স্বজনদের সুপারিশের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। বাকি দুটি মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে। দুপুরে তাদের ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা রয়েছে।

Link copied!