লকডাউনের তৃতীয় দিন: কোথাও ঢিলেঢালা কোথাও কড়াকড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই ৪, ২০২১, ১২:১৬ এএম

লকডাউনের তৃতীয় দিন: কোথাও ঢিলেঢালা কোথাও কড়াকড়ি

করোনা সংক্রমণ রোধে সাত দিনের সর্বাত্মক লকডাউন দিয়েছে সরকার। কঠোর এ বিধিনিষেধের তৃতীয় দিনে শনিবার (৩ জুলাই) রাজধানীর কোথাও ছিল কড়াকড়ি, আবার কোথাও খুবই ঢিলেঢালা।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ও কাঁচাবাজারগুলোতে মানুষের উপস্থিত দেখা গেছে। অলিগলিতেও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ভিড় ছিল অনেক বেশি। গত দুইদিনের তুলনায় আজকে রিক্সা ও ব্যক্তিগত পরিবহন বেশি দেখা গেছে। তবে বিধি-নিষেধ মানাতে নগরীর পথে পথে আগের মতোই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা রয়েছে। পুলিশের তল্লাশি চৌকি পেরিয়েই বাইরে বের হতে হচ্ছে সবাইকে।

মিরপুর, কলেজগেট, পান্থপথ, ফার্মগেট, পল্টন, কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরা ও ধানমন্ডি সহ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ছিল পুলিশ ও র‌্যাবের কড়া নিরাপত্তা। কোন যানবাহনের চালক ও বাহক ছিল না জিজ্ঞাসাবাদের বাহিরে। এ ছাড়া হাতিরঝিল, গুলশান, উত্তরা, শাহবাগ সহ বেশ কিছু পয়েন্টে সেনাবাহিনীকে টহল দিতে দেখা গেছে।

 

কঠোর এ বিধিনিষেধের তৃতীয় দিনে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে ১৮৪ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এর মধ্যে চকবাজার, লালবাগ, কোতোয়ালি, সূত্রাপুর, কামরাঙ্গীচর ও বংশাল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ৮০ জনকে। অন্যদিকে আদাবর, মোহাম্মদপুর, শেরেবাংলা নগর, তেজগাঁও, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, হাতিরঝিল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ৪৭ জনকে। আরও ৫৭ জনকে মিরপুর শাহবাগ সহ রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে গ্রেফতার করা হয়।

এ বিষয়ে ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়, লকডাউনের বিধিনিষেধ পালন না করায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ৫০ হাজার ৬৪০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানায় ডিএমপি।

সড়কের পাশাপাশি পাড়া মহল্লায় টহল দেয়ার কথা জানিয়েছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। এ বিষয়ে র‍্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে যারা বাইরে বের হচ্ছেন তাদের অনেকেই সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান করছেন না। সড়কে না আসলেও ঘুরে বেড়াচ্ছেন পাড়া মহল্লায়। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সড়কের পাশাপাশি পাড়া মহল্লায়ও টহল দিবো।

তবে কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও রাজধানীর অনেক সড়ক ও অলিগলিতে দেখা গেছে মানুষের ভিড়। যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদ সড়কে সিএনজি-প্রাইভেটকার চলাচল করলেও কোনো প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়নি। শনির আখড়া-কাজলা সড়কে চেকপোস্টের কারণে গাড়ির চাপ কিছুটা কম দেখা গেছে। কিন্তু রিকশার চাপে কিছু কিছু জায়গায় জটলা বেঁধে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে ভ্যানযোগেও যাত্রা করছেন। মাঝে মাঝে বাইক-সিএনজি এলেও নানা অজুহাতে তারা যেতে পারছেন। কাজলা থেকে যাত্রাবাড়ী নিচের সড়ক ভাঙা থাকায় যানজট লক্ষ্য করা গেছে।

Link copied!