লক্ষীপুরে সাবেক যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ২৬, ২০২৩, ০৭:৪০ পিএম

লক্ষীপুরে সাবেক যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকে  প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা

লক্ষ্মীপুরে জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমামকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দার বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুইজনকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। কর্তব্যরত চিকিৎসক নোমানকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে গুলিবিদ্ধ রাকিবকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। 

নিহত আবদুল্লাহ আল নোমান বশিকপুর ইউনিয়নের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে ও জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। নিহত রাকিব ইমাম একই ইউনিয়নের নন্দী গ্রামের রফিক উল্যার ছেলে। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বশিকপুর ইউপিনয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা যুবলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান ও ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা রাকিব ইমাম বশিকপুরের পদ্দার বাজারে অবস্থান করছিল। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা রাকিবকে ফোনে জরুরি প্রয়োজনে দেখা করার জন্য ডেকে নেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কাশেম জিহাদীর অনুসারী তারেক আজিজ। পরে তারা দুইজন মোটরসাইকেলে করে বাজারের পশ্চিম মাথায় গেলে দুর্বৃত্তরা তাঁদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে।

একপর্যায়ে যুবলীগ নেতা নোমান লাফিয়ে পড়লে দুর্বৃত্তরা তাঁর মাথায় একাধিক গুলি করে। এ সময় গলা-হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয় রাকিব ইমাম। পরে স্থানীয়রা তাদের দুইজনকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়।

তবে নিহতের স্বজনদের অভিযোগ- সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জিহাদীর অনুসারী তারেক আজিজ, দেয়ান ফয়সাল, জসিম, কালু, শহীদ, শরীফসহ কয়েকজন মুখোশধারী সন্ত্রাসী নোমান ও রাকিবকে গুলি করে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় বিচারের দাবি জানান তারা।

তবে এ ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জিহাদীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, বশিকপুরের পোদ্দার বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে যুবলীগ নেতা নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিব নিহত হয়েছেন। কী কারণে হত্যা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের সাথে যেই জড়িত থাকুক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতরা সন্ত্রাসী। দোষীদের শনাক্ত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

এদিকে নিহত নোমানের বড় ভাই বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান এ ঘটনার জন্য চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জিহাদীর অনুসারীদের দায়ী করেছেন। ঘটনার পর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতা হত্যার প্রতিবাদে জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

Link copied!