প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চারদিনের সরকারি সফরে আসছে ৫ সেপ্টেম্বর ভারত যাচ্ছেন। দিল্লিতে বাংলাদেশের সরকারপ্রধানকে স্বাগত জানাবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া উইংয়ের এক কর্মকর্তা বিয়য়টি দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে নিশ্চিত করেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে,“নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর পর তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। পরে প্রধানমন্ত্রী রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।”
এ ছাড়া ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বা গুরুতর আহত ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ২০০ সদস্যের উত্তরসূরিদের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের ‘মুজিব স্কলারশিপ’ দেবেন শেখ হাসিনা।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে।
দ্য হিন্দুস্তান টাইমস’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, “বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের কথা ঘোষণা করতে পেরে, আমি আনন্দিত’। এটি এই বছরের ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একটি রাষ্ট্রীয় সফর হবে।”
সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি আরও বলেন, “সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন।”
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র আরও বলেন, “পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে প্রধানমন্ত্রীর আজমির শরীফ যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সফরসহ উচ্চ পর্যায়ের সম্পর্ক বজায় রেখেছে উল্লেখ করে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বাগচি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন সফর ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন এবং পারস্পরিক আস্থা ও বোঝাপড়ার ভিত্তিতে দুই দেশের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে।”
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ ভারত সফর করেন ২০১৯ সালের অক্টোবরে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকে বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন কূটনৈতিক, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক মহল।
তাদের মতে, শেখ হাসিনার ভারত সফর একটি অত্যন্ত ইতিবাচক ফল দেবে এবং বর্তমান বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতার একটি নতুন যুগের সূচনা করবে। প্রধানমন্ত্রীর সফর বাংলাদেশে ভারতের বিনিয়োগকেও পুনরুজ্জীবিত করবে বলেও বিশ্লেষকদের অভিমত।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি এ সফরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বেশ কিছু চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে। তবে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি যে হচ্ছে না তা আগেই ঢাকাকে জানিয়ে দিয়েছে দিল্লি।
অগামী ৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
