সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের পেটাল পুলিশ, আহত ১০

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ১৫, ২০২৩, ১০:০৯ পিএম

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের পেটাল পুলিশ, আহত ১০

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

বুধবার দুপুরের দিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের লাঠিচার্জে আহতরা হলেন- এটিএন নিউজের রিপোর্টার জাবেদ আক্তার, আজকের পত্রিকার রিপোর্টার এস এম নূর মোহাম্মদ, জাগো নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার ফজলুল হক মৃধা, মানবজমিনের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার আব্দুল্লাহ আল মারুফ, এটিএন বাংলার ক্যামেরাপার্সন হুমায়ুন কবির, সময় টিভির ক্যামেরাপার্সন সোলাইমান স্বপন, ডিবিসির ক্যামেরাপার্সন মেহেদী হাসান মিম ও বৈশাখী টিভির ক্যামেরাপার্সন ইব্রাহিম। এছাড়া আরও কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী আহত হয়েছেন।

লাঠিচার্জে গুরুতর আহত এটিএন নিউজের রিপোর্টার জাবেদ আক্তারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন সাংবাদিক দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে জানান, নির্বাচন উপলক্ষে  ভোটকেন্দ্র শহীদ শফিউর রহমান অডিটোরিয়ামে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। পুলিশ সদস্যরা ওই অডিটোরিয়াম প্রবেশ করে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের ওপর লাঠিচার্জ করেন।

এসময় পেশাগত দায়িত্বপালনকালে  সাংবাদিকদের কিল-ঘুষি মারে, জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। পুলিশের এক সদস্য এসময় মানবজমিনের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার মারুফের হাতের বুম (মাইক্রোফোন) কেড়ে নিয়ে যায়। সুপ্রিম কোর্টে কর্তব্যরত সাংবাদিকরাএ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।  

এটিএন নিউজের জাবেদ আক্তার বলেন, সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও পুলিশ আমাকে পায়ের নিচে ফেলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও নির্যাতন করেছে।

১৫ ও ১৬ মার্চ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের সময় থাকলেও নির্বাচনকে ঘিরে আগের রাত থেকেই পাল্টাপাল্টি অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল ও বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল।

পৃথকভাবে নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটির আহ্বায়ক বা প্রধান নির্বাচন কমিশনার ঘোষণা করেছে আওয়ামী সমর্থিত সাদা ও বিএনপি সমর্থিত নীল দল।

মঙ্গলবার জরুরি সভার মাধ্যমে সাদা প্যানেলের আহ্বায়ক হিসেবে মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এবং নীল দলে এ এস এম মোক্তার কবিরকে মনোনয়ন দেওয়া হয় পৃথকভাবে।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২দিনব্যাপী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল থেকেই সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে ছিল শত শত পুলিশের উপস্থিতি। এ ছাড়া সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।

Link copied!