১৫ আগস্ট হত‍্যাকান্ডের ধারাবাহিকতা ৩রা নভেম্বর হত‍্যাকান্ড : নৌপ্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেম্বর ৩, ২০২২, ১০:৩৫ পিএম

১৫ আগস্ট হত‍্যাকান্ডের ধারাবাহিকতা ৩রা নভেম্বর হত‍্যাকান্ড : নৌপ্রতিমন্ত্রী

জেলখানা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা। সে নিরাপদ জায়গায় হত‍্যার স্বীকার হয়েছিলেন জাতীয় চারনেতা এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যারা সপরিবারে হত‍্যা করেছিল তারাই এ হত‍্যাকান্ডের সাথে জড়িত। ৩রা নভেম্বর জেলখানায় তারা এ হত‍্যাকান্ড সংঘঠিত করে। ১৫ আগস্ট হত‍্যাকান্ডের ধারাবাহিকতায় ৩রা নভেম্বর হত‍্যাকান্ড। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘর প্রাঙ্গণে শহীদ ক‍্যাপ্টেন  এম মনসুর আলী ফাউন্ডেশন আয়োজিত "বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী" পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, মূলত তারা এসব হত‍্যাকান্ডের মাধ‍্যমে বাংলাদেশকে হত‍্যা করার চেষ্টা করেছিল এবং তারা মনে করেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত‍্যা করার পর জাতীয় চারনেতাকে হত‍্যা করলে  কেউ আর মুক্তিযুদ্ধের কথা বলবেনা, বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা বলবেনা, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ থাকবেনা। বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও আবার পাকিস্তানের ভূখন্ড হিসেবে চিহ্নিত হবে। কিন্তু সকল ষড়যন্ত্র ও সকল রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে  মুজিব আদর্শের যারা ছিল তারা বঙ্গবন্ধুর হত‍্যাকারীদের বিচার করেছে, বিচারের রায় কার্যকর করেছে। এখন জাতি দাবি করছে যে, এ হত‍্যাকান্ডে যারা সরাসরি জড়িত ছিল তাদের বিচার হয়েছে; কিন্তু এ হত‍্যাকান্ডের নেপথ‍্যে যারা ছিল তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে পারিনি। বিচার করতে পারিনি।

এত বড় জঘন‍্য হত‍্যাকান্ডের নেপথ‍্যে যারা ছিল তাদের চিহ্নিত হওয়া দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবিষ‍্যতে এ ধরনের হত‍্য‍াকান্ডের ষড়যন্ত্রের সাহস না দেখায় সেজন্য সকলের মুখোশ উন্মোচন হওয়া দরকার। শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বীরের জাতিকে কলংকিত করেছিল মুষ্টিমেয় ষড়যন্ত্রকারি ও হত‍্যাকারিরা। সেখান থেকে আমরা কখনো বেরিয়ে আসতে পারবনা। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতার স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। সে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব। শহীদ ক‍্যাপ্টেন  এম মনসুর আলী ফাউন্ডেশনের  সভাপতি মো. শেহরিন সেলিম রিপন এবং সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো.মজিবুর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!